অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দুবাই টেস্টের প্রথম দিনের নায়ক পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক মোহাম্মদ হাফিজ। সিরিজের প্রথম টেস্টের প্রথম দিনই সেঞ্চুরি করলেন ২৬ মাস পর বড় ফরম্যাটে খেলতে নামা হাফিজ। উদ্বোধনী জুটিতে ইমাম উল হকের সাথে ২০৫ রান যোগ করেন তিনি। হাফিজ ১২৬ ও ইমাম ৭৬ রান করেন। দিন শেষে পাকিস্তানের সংগ্রহ ৯০ ওভারে ৩ উইকেটে ২৫৫ রান।
টস জিতে আগে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেন পাকিস্তান অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদ। ব্যাট হাতে নেমে দলকে দুর্দান্ত সূচনা এনে দেন হাফিজ ও ইমাম। সর্তকতার সাথে ইনিংসের শুরু থেকে খেলতে থাকেন তারা। ফলে শতরানের কোটা পেরোতে পাকিস্তানের খেলতে হয় ৩৪ ওভার। তখন হাফ-সেঞ্চুরি তুলে ৫৭ রানে ছিলেন হাফিজ। অন্যপ্রান্তে ইমামের রান ছিলো ৩৭।
হাফ-সেঞ্চুরির পর নিজের ইনিংসটি বড় করতে থাকেন হাফিজ ও ইমাম। নিজের মোকাবেলা করা ১৭২তম বলেই টেস্ট ক্যারিয়ারের ১০ম সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন ২০১৬ সালের আগস্টের পর বড় ফরম্যাটে খেলতে নামা হাফিজ। সেঞ্চুরির পর দলের স্কোর ডাবলে নিয়ে যান হাফিজ। তাকে ভালোই সঙ্গ দিয়েছেন ইমাম। তবে দলীয় ২০৫ রানে ইমাম অসি অফ স্পিনার নাথান লিঁয়র শিকার হলে রানে বিচ্ছিন্ন হয় এই জুটি।
টেস্ট ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় হাফ-সেঞ্চুরির স্বাদ নিয়ে ৭৬ রানে থামেন ইমাম। তার ১৮৮ বলের ইনিংসে ৭টি চার ও ২টি ছক্কা ছিলো। পাকিস্তানের টেস্ট ক্রিকেটে উদ্বোধনী জুটিতে পঞ্চম ডাবল-সেঞ্চুরি করলেন হাফিজ ও ইমাম।
ইমামের ফিরে যাবার কিছুক্ষণ পর আউট হন হাফিজও। ১৫টি চারে ২০৮ বলে ১২৬ রান করে পিটার সিডলের শিকার হন হাফিজ। এরপর প্রথম দিন আরও একটি উইকেট হারায় পাকিস্তান। সেটি সাবেক অধিনায়ক আজহার আলির। তিন নম্বরে নেমে ১৮ রান করেন তিনি।
তবে দিন শেষে হারিস সোহেল ১৫ ও মোহাম্মদ আব্বাস ১ রানে অপরাজিত আছেন। অস্ট্রেলিয়ার পিটার সিডল, লিঁও ও হল্যান্ড ১টি করে উইকেট নেন।
অস্ট্রেলিয়ার হয়ে এ ম্যাচে ডেব্যু হয়েছে ওপেনার অ্যারণ ফিঞ্চের। সবচেয়ে বেশি ওয়ানডে খেলে টেস্ট ডেব্যুর তালিকায় দ্বিতীয়স্থানে নাম উঠলো ফিঞ্চের। ১৩৫ ওয়ানডের পর টেস্ট ডেব্যু হলো তার। এই তালিকায় সবার উপরে ভারতের রোহিত শর্মা। ১৪৪ ওয়ানডের পর প্রথম টেস্ট খেলতে নামেন রোহিত।
সংক্ষিপ্ত স্কোর :
পাকিস্তান : ২৫৫/৩, ৯০ ওভার (হাফিজ ১২৬, ইমাম ৭৬, সিডল ১/২৩)।