সর্বশেষ টেস্ট সিরিজে ইংল্যান্ডের কাছে ৪-১ ব্যবধানে হারে ভারত। তারপরও টেস্ট র্যাংকিং-এর শীর্ষস্থান অক্ষত রয়েছে টিম ইন্ডিয়ার। তবে ইংল্যান্ডের কাছে সিরিজ হেরে ছয় পয়েন্ট হারিয়েছে ভারত। তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে পয়েন্ট হারাতে চায় না ভারত। আজ বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হওয়া দুই ম্যাচে টেস্ট সিরিজ পয়েন্ট না হারানোই প্রধান লক্ষ্য ভারতের।
বর্তমানে ১১৫ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে র্যাংকিং-এর শীর্ষে রয়েছে ভারত। ১০৬ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয়স্থানে আছে দক্ষিণ আফ্রিকা। একই রেটিং পয়েন্ট রয়েছে অস্ট্রেলিয়ারও। তবে ভগ্নাংশের হিসেবে পিছিয়ে থেকে তৃতীয়স্থানে অসিরা। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দুই ম্যাচের সিরিজ ২-০ ব্যবধানে জিতলে মাত্র ১ রেটিং পয়েন্ট পাবে ভারত।
আর যদি ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে ২-০ ব্যবধানে সিরিজ হেরে যায় ভারত, তখন তাদের রেটিং পয়েন্ট হবে ১০৮। তখন দক্ষিণ আফ্রিকা ও অস্ট্রেলিয়ার সাথে ভারতের রেটিং পয়েন্ট ব্যবধান হবে মাত্র দুই। তখন ভারতকে ছাড়িয়ে র্যাংকিং-এর শীর্ষে উঠার দারুন সুযোগ তৈরি হবে অস্ট্রেলিয়ার। কারন আগামী ৭ অক্টোবর থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে পাকিস্তানের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ শুরু করছে অস্ট্রেলিয়া। ২-০ ব্যবধানে সিরিজ জিতলেই র্যাংকিং-এর শীর্ষে উঠবে অসিরা।
ভারতের বিপক্ষে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২-০ ব্যবধানে টেস্ট সিরিজ জিতলেও, র্যাংকিং-এ কোন হেরফের হবে না অষ্টমস্থানে থাকা ক্যারিবীয়দের। তবে সপ্তমস্থানে থাকা পাকিস্তানের সাথে রেটিং পয়েন্ট ব্যবধান কমবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের।
দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ দিয়ে র্যাংকিং-এ নিজেদের অবস্থান পরিবর্তনের ভালো সুযোগ পাচ্ছে অস্ট্রেলিয়া ও পাকিস্তান। অস্ট্রেলিয়াকে ২-০ ব্যবধানে হারালে শ্রীলংকার সমান ৯৭ রেটিং পয়েন্ট হবে সপ্তমস্থানে থাকা পাকিস্তানের। তবে ভগ্নাংশের হিসেবে এগিয়ে থেকে ষষ্ঠস্থানে উঠে যাবে পাকিস্তান। অন্যদিকে, পাকিস্তানের বিপক্ষে ১-০ ব্যবধানে সিরিজ জিতলে দক্ষিণ আফ্রিকাকে টপকে দ্বিতীয়স্থানে উঠে যাবে অস্ট্রেলিয়া। ১-০ ব্যবধানে জিতলে অস্ট্রেলিয়ার রেটিং পয়েন্ট হবে ১০৭ এবং ২-০ ব্যবধানে জিতলে ১০৯ রেটিং পয়েন্ট হবে।
শুধুমাত্র দল হিসেবেই নয়, ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলি ব্যক্তিগতভাবেও নিজের অবস্থান নিয়ে চিন্তিত রয়েছেন। কারন বর্তমানে আইসিসি টেস্ট র্যাংকিং-এ ব্যাটসম্যানদের তালিকায় কোহলি শীর্ষে থাকলেও দ্বিতীয় স্থানে থাকা অস্ট্রেলিয়ার সাবেক অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথের সঙ্গে মাত্র ১ রেটিং পয়েন্ট ব্যবধান। অর্থাৎ, কোহলির রেটিং পয়েন্ট ৯৩০, স্মিথের ৯২৯। তাই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে খারাপ পারফরমেন্স র্যাংকিং-এর শীর্ষস্থান থেকে কোহলিকে সরিয়ে দিতে পারে।
ব্যাটসম্যানদের তালিকায় ভারতের চেতেশ্বর পূজারা ষষ্ঠ ও ওপেনার লোকেশ রাহুল ১৯তম স্থানে রয়েছেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে আসন্ন সিরিজে ভালো পারফরমেন্স দিয়ে র্যাংকিং-এ নিজেদের উন্নতি চাইবেন পূজারা ও রাহুল।
বোলিং-এ চতুর্থস্থানে বাঁ-হাতি স্পিনার রবীন্দ্র জাদেজা ও অষ্টমস্থানে রয়েছেন ডান-হাতি স্পিনার রবীচন্দ্রন অশ্বিন। র্যাংকিং-এর কারনে এদের দিকেও স্পটলাইট থাকছে।
এদিকে, ওয়েস্ট ইন্ডিজের ডান-হাতি ব্যাটসম্যান ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েট রয়েছেন ১৩তমস্থানে। ভারতের বিপক্ষে ভালো পারফরমেন্স করতে পারলে তারও শীর্ষ দশজনের মধ্যে জায়গা করে নেয়া সুযোগ থাকছে। বোলারদের তালিকায় ১১ থেকে ২০জনের মধ্যে আছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের শ্যানন গাব্রিয়েল, অধিনায়ক জেসন হোল্ডার, কেমার রোচ। গ্যাব্রিয়েল ১১, হোল্ডার ১৩ ও রোচ ১৯তম স্থানে রয়েছেন।
বল টেম্পারিং কেলেঙ্কারীর কারণে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিষিদ্ধ আছেন অস্ট্রেলিয়ার দুই ব্যাটসম্যান স্মিথ ও ডেভিড ওয়ার্নার। তাই র্যাংকিং-এ অস্ট্রেলিয়ার হয়ে সেরা অবস্থানে আছেন ব্যাটসম্যান উসমান খাজা। তার অবস্থান ২০তম স্থানে। বোলারদের মধ্যে মিচেল স্টার্ক ১৪ ও নাথান লিঁও ১৬তম স্থানে রয়েছেন।
৬৭২ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে র্যাংকিং-এর ১৫তম স্থানে রয়েছেন পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক আজহার আলী। ১৪ তমস্থানে থাকা দক্ষিণ আফ্রিকার হাশিম আমলার সাথে আজহারের রেটিং পয়েন্টের ব্যবধান ১।
পাকিস্তানের বোলার হিসেবে র্যাংকিং-এ সবার উপরে আছেন লেগ-স্পিনার ইয়াসির শাহ। ৬৭২ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে ১৮তমস্থানে রয়েছেন ইয়াসির। কুচকির ইনজুরির কারণে আয়ারল্যান্ড ও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের খেলতে পারেননি তিনি। চার বছর আগে সংযুক্ত আরব আমিরাতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ২-০ ব্যবধানে জিতে নেয়া সিরিজে ১২ উইকেট নিয়েছিলেন ইয়াসির।