অ্যাশেজে প্রথমবারের মত মাঠে গড়ালো দিবা-রাত্রির টেস্ট ক্রিকেট। অ্যাডিলেডে সিরিজের ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টে টস হেরে ব্যাট করছে অস্ট্রেলিয়া।
এর আগে অ্যাশেজে কখনোই যে দিবা-রাত্রির টেস্ট হয়নি। দিবা-রাত্রির এই টেস্টে অবশ্য পরিষ্কার ফেভারিট অস্ট্রেলিয়া। কারণ ভিন্ন প্রতিপক্ষের বিপক্ষে দিবা-রাত্রির তিনটি টেস্ট খেলেছে তারা। সব ক’টিতেই জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে দলটি। আর অ্যাডিলেড ওভালে ২০১০ সালের পর হারেনি অজিরা।
টেস্ট সংখ্যার বিচারে পিছিয়ে থাকলেও অবশ্য দিবা-রাত্রির টেস্টের দলগত পরিসংখ্যান পিছিয়ে নয় ইংল্যান্ডও। গোলাপী বলে তারা একটাই টেস্ট খেলেছে, চলতি বছর ঘরের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। ওই ম্যাচে ক্যারিবিয়দের ইনিংস এবং ২০৯ রানের বড় ব্যবধানে উড়িয়ে দেয় ক্রিকেটের জনকরা। রাতের আলোতে স্টুয়ার্ট ব্রড আর জেমস অ্যান্ডারসনের পেস বলতে গেলে ‘আনপ্লেয়াবল’ ছিল।
দিবা-রাত্রির ইতিহাসে এটি হতে যাচ্ছে সপ্তম টেস্ট। এমন ঐতিহাসিক টেস্টে জয়ে স্বাদ নিতে মরিয়া অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ড। টেস্ট ইতিহাসে এখন পর্যন্ত ছয়বার দিবা-রাত্রির ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
২০১৫ সালে সর্বপ্রথম দিবা-রাত্রির টেস্ট অনুষ্ঠিত হয়। অ্যাডিলেডে অনুষ্ঠিত ঐ টেস্টে মুখোমুখি হয়েছিল অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড। ম্যাচটি ৩ উইকেটে জিতেছিল অসিরা। এরপর আরও দু’বার দিবা-রাত্রির টেস্ট ম্যাচে অংশ নেয় অস্ট্রেলিয়া।
তবে মাত্র একবার দিবা-রাত্রির টেস্ট খেলতে পেরেছে ইংল্যান্ড। চলতি বছরই তারা প্রথম দিবা-রাত্রির টেস্ট ম্যাচ খেলে। তাই দিবা-রাত্রির টেস্ট খেলার দিক দিয়ে অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ড অভিজ্ঞ। তবে মর্যাদাকর অ্যাশেজের ১৩৫ বছরের ইতিহাসে এবারই প্রথম দিবা-রাত্রির টেস্ট অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
অস্ট্রেলিয়া স্কোয়াড
স্টিভেন স্মিথ (অধিনায়ক), ডেভিড ওয়ার্নার, ক্যামেরন বেনক্রফট, জ্যাকসন বার্ড, প্যাট কামিন্স, পিটার হ্যান্ডসকম্ব, জশ হ্যাজেলউড, উসমান খাজা, ন্যাথান লিঁও, শন মার্শ, টিম পাইন (উইকেটরক্ষক), চাদ শ্রেয়াস ও মিচেল স্টার্ক।
ইংল্যান্ড স্কোয়াড
জো রুট (অধিনায়ক), অ্যালিস্টার কুক, মার্ক স্টোনম্যান, জেমস ভিন্স, ডেভিড মালান, মঈন আলী, জনি বেয়ারস্টো (উইকেটরক্ষক), ক্রিস ওকস, স্টুয়ার্ট ব্রড, জেমস অ্যান্ডারসন, জ্যাক বল ও ক্রেইগ ওভারটন।