পাকিস্তানের বিপক্ষে সেঞ্চুরিয়ানে শুরু হতে যাওয়া সিরিজের প্রথম টেস্টে শুধুমাত্র পেস আক্রমণ নিয়েই মাঠে নামবে দক্ষিণ আফ্রিকান। একাদশ প্রকাশ না করলেও স্বাগতিক অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা এমনটা স্বীকার করেছেন। বাভুমা বলেন, “সেঞ্চুরিয়ানে আমরা পেসারদের দলে ফিরিয়েছি।”
দুই ম্যাচের এ টেস্ট সিরিজ দক্ষিণ আফ্রিকার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। দুই ম্যাচের একটিতে জিততে পারলেই আগামী বছর ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশীপের ফাইনালে জায়গা করে নিবে প্রোটিয়ারা।
বেশ কিছু শীর্ষ সারির পেসার ইনজুরিতে থাকায় ফাস্ট বোলার করবিন বোশের অভিষেক হতে যাচ্ছে। ঘরোয়া ক্রিকেটে টাইটান্সের প্রাদেশিক দলের হয়ে তিনি খেলে থাকেন। সেঞ্চুরিয়ান এ দলের হোম গ্রাউন্ড।
৩০ বছর বয়সী বোশের বাবা টেরটিয়াস বোশ ১৯৯২ সালে বার্বাডোসে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম আইসোলেশন পরবর্তী টেস্টে খেলেছিলেন।
বাভুমা বলেন, “প্রাদেশিক দলের হয়ে নিজের নামের প্রতি সুবিচার করা বোশ তার পরিচিত ভেন্যুতেই খেলতে নামছে। যে কারনে দলকে বাড়তি সুবিধা সে দিতে পারবে বলে আমাদের বিশ্বাস। বোশ বেশ শক্তিশালী একজন খেলোয়াড়। ব্যাট হাতেও সে দলকে সহযোগিতা করতে পারবে।”
রোববার জোহানেসবার্গে পাকিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে অভিষেকে বোশ ১৪০ কিমি এরও বেশি গতিতে বল করেছেন। লোয়ার অর্ডারে নেমে ৪০ রানে অপরাজিত ছিলেন।
বাভুমা জানিয়েছেন ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশীপের ফাইনালকে সামনে রেখে তার দলের খেলোয়াড়রা এই টেস্টের গুরুত্ব সম্পর্কে জানে, “আমরা জানি আমাদের সামনে কি সুযোগ অপেক্ষা করছে। আমরা আত্মবিশ্বাসী। বিশেষ করে সম্প্রতি আমরা যে ধরনের ভাল ক্রিকেট খেলেছি তাতে নিজেদের উপর আস্থা আছে। কোন দূর্ঘটনা না ঘটলে পরিস্থিতি অনুকূলেই থাকবে।”
চ্যাম্পিয়নশীপ সাইকেলে দক্ষিণ আফ্রিকা মাত্র ১২টি টেস্ট খেলার সুযোগ পেয়েছে এবং এর প্রতিটি ছিল দুই ম্যাচের। বাংলাদেশের সাথে যৌথভাবে যা সর্বনিম্ন। এ সময়ের মধ্যে ইংল্যান্ড খেলেছে ২২টি, অস্ট্রেলিয়া ও ভারত খেলবে ১৯টি ম্যাচ।
দক্ষিণ আফ্রিকান কোচ শুকরি কোনার্ড এসএ২০ লিগের সাথে চুক্তিভূক্ত কোন খেলোয়াড়কে টেস্ট দলে জায়গা দেননি। যে কারণে টেস্টে থাকা প্রতিটি খেলোয়াড়ই নিজেদের শতভাগ মনোযোগ দিয়ে ম্যাচগুলো খেলতে পেরেছে, যার প্রভাব মাঠে দেখা গেছে।
অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে কোন ম্যাচ খেলেনি প্রোটিয়ারা। ‘বিগ থ্রি’ টেস্ট দলের মধ্যে শুধুমাত্র একটি ম্যাচ সিরিজ খেলেছে ভারতের বিপক্ষে।
এদিকে দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে পাকিস্তান ১৫টি টেস্টের মধ্যে মাত্র দুটিতে জয়ী হয়েছে। তবে ওয়ানডেতে ৩-০ ব্যবধানে জয়ী হয়ে সুস্পষ্ট আত্মবিশ্বাস নিয়েই মাঠে নামছে সফরকারীরা। পাকিস্তান দলের সাত ও দক্ষিণ আফ্রিকা দলের আটজন ওয়ানডে দলে ছিলেন।
দক্ষিণ আফ্রিকা দল
টেম্বা বাভুমা (অধিনায়ক), এইডেন মার্করাম, টনি ডি জোর্জি, রায়ান রিকেলটন, ট্রিস্টান স্টাবস, ডেভিড বেডিংগ্যাম, কাইল ভেরেইন (উইকেটরক্ষক), মার্কো জানসেন, করবিন বোশ, কাগিসো রাবাদা, ডেন প্যাটারসন।
পাকিস্তান দল
শান মাসুদ (অধিনায়ক), সৌদ শাকিল, আমির জামাল, আব্দুল্লাহ শফিক, বাবর আজম, হাসিবুল্লাহ খান, কামরান গুলাম, খুররম শাহজাদ, মির হামজা, মোহাম্মদ আব্বাস, মোহাম্মদ রিজওয়ান (উইকেটরক্ষক), নাসিম শাহ, নোমান আলি, সাইম আইয়ুব, সালমান আলি আগা।