জয়, মুশফিক এবং লিটন দাস; সকালে পর পর তিন উইকেট হারিয়ে ইনিংস ব্যবধানে হারের শঙ্কায় পড়লেও মেহেদী হাসান মিরাজের ফিফটি এবং জকের আলীর দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে লিড নিয়েছে বাংলাদেশ।
বুধবার (২৩ অক্টোবর) দ্বিতীয় সেশনের শুরুতেই এগিয়ে যায় টাইগাররা। দক্ষিণ আফ্রিকার ২০২ রানের লিড টপকে লিডে ফিরে বাংলাদেশ। এখন কত রানের লক্ষ্য দিতে পারে সেটাই দেখার বিষয়।
এ রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত মেহেদী হাসান মিরাজ ১২১ বলে ৬২ ও জাকের আলি ৯৫ বলে ৪৭ রানে অপরাজিত রয়েছেন।
এর আগে তৃতীয় দিনের শুরুতেই ব্যাটিং ধসে পড়ে ইনিংস ব্যবধানে হারের শঙ্কায় পড়েছি বাংলাদেশ। বুধবার (২৩ অক্টোবর) দিনের শুরুতেই ফিরেন জয়। আগের দিনের সাথে মাত্র ২ রান যোগ করতে পারেন তিনি।
দিনের পঞ্চম ওভারের শুরুতেই কাগিসো রাবাদার অফ স্টাম্পের বাইরের বল খেলতে গিয়ে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে ধরা পড়েন জয়। ৫ চারে ৯২ বলে ৪০ রান করেন তিনি। জয় ফিরে যাওয়ায় ১০৫ রানে চতুর্থ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
প্রথম বলে জয়কে ফেরানোর পর একই ওভারে মুশফিককেই সাজঘরে পাঠান রাবাদা। ওভারের তৃতীয় বলে বোল্ড হন মুশফিকুর রহিম। প্রথম ইনিংসেও রাবাদার বলে আউট হয়েছিলেন তিনি। একই ওভারে দুই উইকেট হারিয়ে ফেলায় বাংলাদেশের স্কোর দাঁড়ায় ৫ উইকেটে ১০৬ রান।
পরপর দুই উইকেট হারানোর পর বাংলাদেশকে মহাবিপদের পথে ঠেলে দেন লিটন দাস। কেশাভ মহারাজের করা ইনিংসের ৩৫তম ওভারের শেষ বল ব্যাটের ওপরের অংশে লেগে জমা পড়ে কাইল ভেরেইনার গ্লাভসে।
আম্পায়ার প্রথমে আউট না দিলেও রিভিউ নিয়ে লিটনকে সাজঘরের পথ ধারায় দক্ষিণ আফ্রিকা। ১৫ বলে ৭ রান করে ফেরেন লিটন। প্রথম ইনিংসে লিটনের ব্যাট থেকে এসেছিল ১ রান।
দলীয় ১১২ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে এখন ইনিংস ব্যবধানের হার এড়াতে লড়ছে বাংলাদেশ। প্রথম ইনিংসে ১০৬ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল টাইগারদের ব্যাটিং ইনিংস। বিপরীতে প্রথম ইনিংসে ৩০৮ রান করলে ২০২ রানের লিড পেয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা।