দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে ভারতের ৩৭৬ রানের জবাব দিতে নেমে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়েছে বাংলাদেশ। দলীয় রান অর্ধশত পার করার আগেই (৪০) সাজঘরে ফিরেছে পাঁচ টাইগার ব্যাটার। ব্যক্তিগত অর্জনে একজন বাকি চারজনই ছিলেন সিঙ্গেল ডিজিটে।
দ্বিতীয় দিন ভারতের ইনিংস শেষ হওয়ার পর ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ। ব্যাট হাতে নেমেই চাপে পড়ে বাংলাদেশ। প্রথম ওভারের শেষ বলে ভারতীয় পেসার জসপ্রিত বুমরাহর শিকার হন ওপেনার সাদমান ইসলাম (২)।
নবম ওভারে প্রথম দুই বলে পর পর দুই উইকেট নেন ভারতের আরেক পেসার আকাশ দীপ। ওপেনার জাকির হাসানকে ৩ ও মমিনুল হককে খালি হাতে বিদায় করেন আকাশ। ২২ রানে তৃতীয় উইকেট হারায় টাইগাররা। হ্যাটট্রিক সুযোগ আসলেও মুশফিকুর রহিম আর সেটি হতে দেননি।
অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ১৫ ও মুশফিকুর রহিম ৪ রান নিয়ে প্রথম সেশন শেষ করেন। ভারতের আকাশ ২টি ও বুমরাহ ১টি উইকেট নেন। ফলে ওভারে ৩ উইকেটে ২৬ রান তুলে দ্বিতীয় দিনের মধ্যাহ্ন-বিরতিতে যায় টাইগাররা।
বিরতি থেকে ফিরে নাজমুল হোসেন শান্ত ও মুশফিকুর রহিম প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করলেও পেরে ওঠেননি। ইনিংসের ১২তম ওভারের প্রথম বলেই সাজঘরে ফিরেন শান্ত (২০)।
মোহাম্মদ সিরাজের করা অফ স্টাম্পের বাইরের বল পা বাড়িয়ে ডিফেন্স করতে চেয়েও লাইনে যেতে পারেননি শান্ত। ব্যাটের কানা লেগে বল চলে যায় স্লিপে দাঁড়িয়ে থাকা বিরাট কোহলির হাতে। দলীয় ৩৬ রানে চার উইকেট হারিয়ে বসে বাংলাদেশ।
দলের এমন বিপদে মুশফিকও হাল ধরতে পারেননি। জাসপ্রতি বুমরাহর বলে উইকেটে পেছনে দ্বিতীয় স্লিপে ক্যাচ দেন তিনি। স্লিপে দাঁড়ানো লোকেশ রাহুলও লুফে নেন বল। ফলে দলী রান অর্ধশত পার হওয়ার (৪০) আগেই পাঁচ উইকেট হারিয়ে বসে সফরকারী বাংলাদেশ।
এ রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত সাকিব আল হাসান (১২) এবং লিটন কুমার দাস (১৩) ব্যাট করছেন।
এর আগে বাংলাদেশের দুই পেসার হাসান মাহমুদ ও তাসকিন আহমেদের বোলিং নৈপুন্যে প্রথম ইনিংসে ৩৭৬ রানে অলআউট হয় স্বাগতিক ভারত। স্বাগতিক দলের পক্ষে রবীচন্দ্রন অশ্বিন ১০২ ও রবীন্দ্র জাদেজা ৮৬ রান করেন।
বাংলাদেশের পক্ষে বল হাতে হাসান ৮৩ রানে ৫ এবং তাসকিন ৫৫ রানে ৩ উইকেট নেন। ৪ ম্যাচের টেস্ট ক্যারিয়ারে দ্বিতীয়বার এবং ভারতের মাটিতে প্রথম বাংলাদেশি বোলার হিসেবে ইনিংসে ৫ উইকেট নিলেন হাসান।