পাকিস্তানের ছুঁড়ে দেওয়া রান পাহাড় ডিঙ্গিয়ে ১১৭ রানের লিডে থামলো বাংলাদেশ। চার ব্যাটারের ফিফটি এবং মুশফিকুর রহীমের সেঞ্চুরিতে প্রথম ইনিংসে ৫৬৫ রান করেছে টাইগাররা। এর আগে ৪৪৮ রানে নিজেদের প্রথম ইনিংস ঘোষণা করেছিল স্বাগতি পাকিস্তান।
শুক্রবার (২৩ আগষ্ট) তৃতীয় দিন শেষে ৫ উইকেটে ৩১৬ রান করেছিল বাংলাদেশ। ৫ উইকেট হাতে নিয়ে ১৩২ রানে পিছিয়ে ছিল টাইগাররা। মুশফিক ৫৫ ও লিটন দাস ৫২ রানে অপরাজিত ছিলেন।
চতুর্থ দিন শনিবার (২৪ আগষ্ট) নবম ওভারে পাকিস্তানের পেসার নাসিম শাহর বলে ৫৬ রানে আউট হন লিটন। ৭৮ বল খেলে ৮টি চার ও ১টি ছক্কা হাঁকান তিনি। ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে মুুশফিকের সাথে ১১৪ রান যোগ করেন লিটন।
লিটন ফেরার পর মেহেদি হাসান মিরাজকে নিয়ে বাংলাদেশের রানের চাকা সচল রাখেন মুশফিক। ইনিংসের ১১৬তম ওভারে টেস্ট ক্যারিয়ারের ১১তম সেঞ্চুরির দেখা পান মুশফিক। ১৩৭তম ওভারে পাকিস্তানের রান টপকে বাংলাদেশকে লিড এনে দেন মুশফিক-মিরাজ।
জুটিতে অবিচ্ছিন্ন ১৬৩ রান তুলে চা-বিরতিতে যান মুশফিক-মিরাজ। তবে বিরতি থেকে ফিরে ডাবল সেঞ্চুরি বঞ্চিত হয় মুশফিক। মাত্র ৯ রানের আক্ষেপ নিয়ে সাজঘরে ফিরেনে তিনি। ২২টি চার ও এক ছক্কায় ১৯১ রান করেন মুশফিক।
মুশফিক চলে যাওয়ার পর ফিফটি করা মেহেদীয় মিরাজ সেঞ্চুরির দিয়ে এগুচ্ছিলেন। তবে সেটা আর হয়নি, ৭৭ রানে ফিরেন তিনি। তার এ ইনিংসে ৬টি চারের মার ছিল। এছাড়া শেষ দিকে শরিফুল ইসলামের ব্যাট থেকে আসে ২২ রান।
বাংলাদেশ অলআউট হওয়ার পর দিনের শেষ দিকে ১০ ওভার ব্যাট করার সুযোগ পেয়েছিল পাকিস্তান। ১০ ওভারে ২৩ রান সংগ্রহ করতে হারাতে হয়েছে একটি উইকেট। ফলে বাংলাদেশের এখনো ৯৪ রানে লিডে রয়েছে।