পাকিস্তানের বিপক্ষে বৃষ্টি বিঘ্নিত সিরিজের প্রথম টেস্টে স্বাগতিকদের চাপে রেখে প্রথম দনি শেষ করেছে বাংলাদেশ। প্রথম দিনে ৪১ ওভারে ৪ উইকেটে ১৫৮ রান করেছে স্বাগতিক পাকিস্তান। বাংলাদেশের দুই পেসার শরিফুল ইসলাম ও হাসান মাহমুদ ২টি করে উইকেট শিকার করেছেন।
বুধবার (২১ আগষ্ট) রাওয়ালপিন্ডি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস ভাগ্যে জয় পায় বাংলাদেশ। টস জিতে প্রথমে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। তবে বৃষ্টিতে মাঠ ভেজা থাকায় নির্ধারিত সময়ের চার ঘণ্টা পর শুরু হয় খেলা।
ইনিংসের চতুর্থ ওভারের তৃতীয় বলে পাকিস্তান শিবিরে প্রথম আঘাত হানেন হাসান। অফ-স্টাম্পের বাইরের বল ড্রাইভ করতে গিয়ে স্লিপে ক্যাচ দেন পাকিস্তানের ওপেনার আব্দুল্লাহ শফিক। পঞ্চম স্লিপে ডান-দিকে ঝাপিয়ে পড়ে দুর্দান্ত ক্যাচ নেন জাকির হাসান। ১৪ বলে ২ রান করেন শফিক।
সপ্তম ওভারে পাকিস্তানের অধিনায়ক শান মাসুদকে ৬ রানে সাজঘরে পাঠান শরিফুল। উইকেটের পেছনে লিটন দাসকে ক্যাচ দেন মাসুদ। মাসুদের বিদায়ে ক্রিজে আসেন দলের সেরা ব্যাটার বাবর আজম। তবে টাইগার বোলারদের সামনে দাঁড়াতে পারেননি তিনি।
ব্যাট হাতে ২ বল খেলে রানের খাতা খোলার আগেই উইকেটের পেছনে লিটনের দারুণ ক্যাচে শরিফুলের দ্বিতীয় শিকার হন বাবর। ১৬ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে পাকিস্তান। এ অবস্থায় দলের হাল ধরেন আরেক ওপেনার সাইম আইয়ুব ও সৌদ শাকিল।
চতুর্থ উইকেটে জুটি বেঁধে পাকিস্তানের রান তিন অংকে নেন তারা। ৩২তম ওভারে আইয়ুব-শাকিলের ৯৮ রানের জুটি ভাঙেন হাসান। অফ স্টাম্পের বাইরের বল ড্রাইভ করতে গিয়ে তৃতীয় স্লিপে মেহেদি হাসান মিরাজকে ক্যাচ দেন ৪টি চার ও ১টি ছক্কায় ৯৮ বলে ৫৬ রান করা সাইম।
দলীয় ১১৪ রানে সাইম ফেরার পর দিনের বাকি সময় ভালোভাবে পার করেন শাকিল ও উইকেটরক্ষক মোহাম্মদ রিজওয়ান। ৪৪ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়েন তারা। ৫টি চারে শাকিল ৫২ ও ২টি বাউন্ডারিতে ২৪ রানে অপরাজিত আছেন রিজওয়ান।
শরিফুল ৩০ রানে ও হাসান ৩৩ রানে ২টি করে উইকেট নেন। পেস সহায়ক উইকেটে দিনের ৩ ওভার বাকী থাকতে বোলিংয়ে আসেন স্পিনার সাকিব আল হাসান। ২ ওভারে ১২ রান দেন তিনি। আরেক স্পিনার মিরাজ ৪ ওভারে দিয়েছেন ২৪ রান।