কাঁধের ইনজুরি ঠিকঠাক সামাল দিতে পারলেই পেসার তাসকিন আহমেদের টেস্ট ক্রিকেটে ফেরার স্বপ্ন পূরণ হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) ফিজিও বায়েজিদুল ইসলাম খান।
কয়েকবার ইনজুরিতে পড়ায় এ বছরের শুরুতে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) চলাকালীন টেস্ট ক্রিকেট থেকে বিরতি নিয়েছিলেন তাসকিন। এরপর কোন সমস্যা ছাড়াই ক্রিকেটের অন্যান্য ফরম্যাটে খেলা চালিয়ে যান তিনি।
গত বছরের জুনে সর্বশেষ টেস্ট খেলেছেন তাসকিন। দেরিতে হলেও এ মাসেই পাকিস্তানের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজকে সামনে রেখে দীর্ঘ সংস্করণের ফরম্যাটে ফেরার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন তিনি।
বায়েজিদ বলেন, “গত কয়েক মাস টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে খেলেছেন তাসকিন। এজন্য এই সময় দীর্ঘক্ষণ বোলিং করার দরকার পড়েনি তার।তার একটি সমস্যা আছে, যে কারণে বারবার সমস্যা হচ্ছে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ চলাকালীন (গত জুনে যুক্তরাষ্ট্র এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজে) আবারও তার কাঁধের ইনজুরির পরীক্ষা করতে হয়েছিলো। ইনজুরি সমস্যা বাড়েনি। ইনজুরিতে তার যা ক্ষতি হয়েছিলো, সেটি এখন একই রকম আছে।”
বায়েজিদের মতে, ইনজুরি সমস্যা যেহেতু আর বাড়েনি তাই নিজেকে সামলে নিতে পারলে এবং ঠিকঠাক অনুশীলন করলে টেস্ট ক্রিকেট খেলা চালিয়ে যেতে পারবেন তাসকিন।
বিসিবর ফিজিও বলেন, “এই ধরনের ইনজুরি সামলাতে পারলেই একজন খেলোয়াড় খেলতে পারে। যদি তার পুনর্বাসন এবং অনুশীলন ঠিকঠাক হয়, তাহলে সে ভালভাবে খেলতে পারবে।”
তিনি আরও বলেন, “তাই আমরা বলতে পারি, টেস্ট ক্রিকেটে তার খেলার সুযোগ আছে। কিন্তু টেস্ট ক্রিকেটে আপনাকে অনেক কাজের চাপ নিতে হবে। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট ছাড়া, একজন বোলারকে লম্বা স্পেল বোলিং করতে হয় এবং শুধু লম্বা স্পেলই নয়, টেস্টে সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত একই ছন্দ ও গতি ধরে রাখতে হয়। তাই এসব করার চেষ্টা করতে হবে এবং যদি ভালো বোধ করে তাহলে অবশ্যই টেস্ট ক্রিকেট খেলতে পারবে সে।”
বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হওয়া আজকের ফিটনেস টেস্টে উপস্থিত ছিলেন তাসকিন। টেস্ট খেলার দৌঁড়ে থাকা ক্রিকেটারদের আজ শারীরিক মূল্যায়ন পরীক্ষা ছিল। বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে ১.৬ কিমি ট্রায়াল দিয়ে মূল্যায়ন পরীক্ষা শুরু করেন স্ট্রেন্থ এবং কন্ডিশনিং কোচ নাথান কিলি।
তবে খারাপ আবহাওয়ার কারণে জিম সেশন ও অন্যান্য ফিটনেস পরীক্ষার জন্য মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে যেতে হয়েছে খেলোয়াড়দের।
পাকিস্তানের সফরের জন্য ১৭ আগস্ট দেশ ছাড়বে বাংলাদেশ। রাওয়ালপিন্ডিতে ২১ আগস্ট থেকে প্রথম টেস্ট এবং করাচিতে ৩০ আগস্ট থেকে শুরু হবে দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট।