শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্টে হার নিশ্চিতই ছিল। তবে ব্যবধানটা আরও কমানোর সুযোগ কিংবা লড়াইটাও আরও বড় করাই যেত। তবে সেটি আর হয়নি। বড় ব্যবধানেই হারের স্বাদ নিয়ে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশ হলো বাংলাদেশ। এ মধ্য দিয়ে শেষ হলো শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে পূর্ণাঙ্গ সিরিজের যাত্রা।
চট্টগ্রাম টেস্টে বাংলাদেশ হেরে গেছে ১৯২ রানের ব্যবধানে। চতুর্থ দিন (মঙ্গলবার) শেষে ৩ উইকেট হাতে নিয়ে ২৪৩ রানে পিছিয়ে ছিল বাংলাদেশ। বুধবার (৩ মার্চ) শেষ দিনে ১৮ ওভার খেলে ৫০ রান যোগ করতে পারে টাইগার তিন ব্যাটার। ১৯২ রানের জয় পেয়ে যায় শ্রীলঙ্কা।
এর আগে সিরিজের প্রথম টেস্টে সিলেটে ৩২৮ রানের ব্যবধানে বাংলাদেশকে হারিয়েছিল সফররত শ্রীলঙ্কা। তার আগে ওয়ানডে সিরিজ ২-১ ব্যবধানে বাংলাদেশ এবং একই ব্যবধানে (২-১) টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতেছিলে শ্রীলঙ্কা।
মঙ্গলবার (২ মার্চ) দ্বিতীয় ইনিংসে ৭ উইকেটে ১৫৭ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করলে ৫১১ রানের লক্ষ্য পায় বাংলাদেশ। ব্যাট করতে নেমে দিন শেষে ৭ উইকেটে ২৬৮ রান করেছে স্বাগতিক বাংলাদেশ। ফলে বাকি ৩ উইকেট নিয়ে ২৪৩ রানে পিছিয়ে ছিল টাইগাররা। ব্যাট হাতে মেহেদী হাসান মিরাজ ৪৪ ও তাইজুল ইসলাম ১০ রানে অপরাজিত ছিলেন।
পঞ্চম ও শেষ দিনে ব্যাট করতে নেমে ১০ রানে অপরাজিত থাকা তাইজুল সাজঘরে ফিরেন ১৪ রানে, নিজের নামের পাশে মাত্র ৪ রান যোগ করতে পারেন তিনি। এরপর মিরাজের সাথে জুটি গড়ে হাসান মাহমুদ জুটি গড়লেও বেশিদূর যেতে পারেননি। অন্যপ্রান্তে ব্যাট করা মিরাজকে সঙ্গ দিতে পারেনি কেউ। হাসান ফিরেন ব্যক্তিগত ৬ রানে।
৩১২ রানে নবম উইকেট হারানোর পর শেষ উইকেট জুটি থেকে আসে মাত্র ৬ রান। ব্যক্তিগত ২ রানে খালেদ সাজঘরের পথ ধরলে হার নিশ্চিত হয় টাইগারদের। একপ্রান্তে রানের চাকা সচল রাখা মিরাজ অপরাজিত ছিলেন ৮১ রানে।
এর আগে দ্বিতীয় ইনিংসে ৫০ রানের একটি ইনিংস খেলেছেন মমিনুল হক। বাকিদের মধ্যে আরও কেউ ফিফটির কোটা পূরণ করতে পারেননি।
বাংলাদেশকে হোয়াইটওয়াশের লজ্জা দেওয়া এ ম্যাচে এবং সিরিজ সেরা ক্রিকেটার হয়েছেন শ্রীলঙ্কার কামিন্দু মেন্ডিস।