অবসর ভেঙে বাংলাদেশের বিপক্ষে শ্রীলঙ্কা টেস্ট দলে ফিরছিলেন স্পিনার হাসারাঙ্গা ডি সিলভা। তবে বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে খেলতে পারছেন না হাসারাঙ্গা। আইসিসি আচরণবিধি ভেঙে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় শাস্তিস্বরূপ বাংলাদেশের বিপক্ষে দুই টেস্ট সিরিজের জন্য হয়েছেন নিষিদ্ধ।
মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) বাংলাদেশ সময় রাতে এক বিবৃতিতে আইসিসি এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। বলা হয়, বাংলাদেশের টেস্টে হাসারাঙ্গা নিষিদ্ধ হওয়ায় শ্রীলঙ্কার জন্য একটি ধাক্কা।
চট্টগ্রামে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে সদ্য সমাপ্ত সিরিজের তৃতীয় ওয়ানডে চলাকালীন আম্পায়ারের সাথে অসদাচরণ করেছিলেন লঙ্কার স্পিনার হাসারাঙ্গা ডি সিলভা। যা আইসিসির কোড অফ কন্ডাক্ট ফর প্লেয়ার এবং প্লেয়ার সাপোর্ট পার্সোনেলের অনুচ্ছেদ ২.৮ লঙ্ঘন।
অবসর ভাঙলেন হাসারাঙ্গা, বাংলাদেশের বিপক্ষে শ্রীলঙ্কা টেস্ট দলেও নতুন মুখ
ঘটনাটি ঘটে ম্যাচে ৩৭তম ওভারে। হাসরাঙ্গা একজন আম্পায়ারের কাছ থেকে তার ক্যাপ ছিনিয়ে নেন এবং ম্যাচে আম্পায়ারিংকে উপহাস করেছিলেন। এটা আইসিসির অনুচ্ছেদ ২.৮ লঙ্ঘন। যা ‘আন্তর্জাতিক ম্যাচ চলাকালীন একজন আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে ভিন্নমত দেখানো’-কে বোঝায়।
হাসারাঙ্গা দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় ম্যাচ ফি’র ৫০ শতাংশ জরিমানা এবং নামের পাশে তিনটি ডিমেরিট পয়েন্ট যোগ করা হয়। গত ২৪ মাসে হাসারাঙ্গার নামের পাশে মোট ৮টি ডিমেরিট পয়েন্ট হওয়ায় দুটি টেস্ট ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ হন। অর্থাৎ বাংলাদেশের বিপক্ষ টেস্ট সিরিজে হাসারাঙ্গা আর খেলতে পারছেন না।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ থেকে ছিটকে গেলেন মুশফিক
এর আগে গত মাসে ডাম্বুলায় আফগানিস্তানের বিপক্ষে তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে তিনটি ডিমেরিট পয়েন্ট পাওয়ার পর লঙ্কান এ অলরাউন্ডারের নামের পাশে পাঁচ ডিমেরিট পয়েন্টে ছিল। এখন আরও ডিমেরিট পয়েন্ট যোগ হওয়ায় ৭.৬ অনুচ্ছেদ অনুসারে হাসারাঙ্গার বিপক্ষে চারটি সাসপেনশন পয়েন্টে রূপান্তরিত হয়েছে।
কুশল মেন্ডিসও জরিমানা এবং শাস্তি
এদিকে, হাসারাঙ্গা ছাড়াও একই ম্যাচে আইসিসির আচরণ বিধি ভেঙে আরও একজন লঙ্কান ক্রিকেটার জরিমানা ও শাস্তির সম্মুখিন হয়েছে। শ্রীলঙ্কার ওয়ানডে অধিনায়ক কুশল মেন্ডিসও তৃতীয় ম্যাচের শেষে ‘আম্পায়ারদের সাথে করমর্দন করার সময় তাদের সাথে দুর্ব্যবহার’ করেছিলেন।
লেভেল ২-এর অপরাধের জন্য মেন্ডিসকে ম্যাচ ফি’র ৫০ শতাংশ জরিমানা এবং নামের পাশে তিনটি ডিমেরিট পয়েন্ট যুক্ত করা হয়েছে। তবে ২৪ মাসের মধ্যে মেন্ডিসের এটি প্রথম অপরাধ হওয়ায় নিষেধাজ্ঞার মতো শাস্তি পেতে হচ্ছে না।
মেন্ডিস ও হাসারাঙ্গা দু’জনই নিজেদের অপরাধ স্বীকার করে নিয়েছেন, ফলে আনুষ্ঠানিকভাবে আর শুনানির প্রয়োজন পড়েনি।