ঘরের মাঠে পাকিস্তানের বিপক্ষে পার্থে প্রথম ম্যাচ দিয়ে ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নারের বিদায়ী টেস্ট সিরিজ শুরু করতে যাচ্ছে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া। সিডনিতে এ সিরিজের তৃতীয় ম্যাচ দিয়ে টেস্ট ফরম্যাট থেকে অবসর নেবেন ৩৭ বছর বয়সী ওয়ার্নার। এ জন্য পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ জিতে লাল বলে ওয়ার্নারের বিদায়টা স্মরণীয় করে রাখতে চায় অস্ট্রেলিয়া। অন্যদিকে, অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে কখনও টেস্ট সিরিজ জিততে না পারার বন্ধ্যাত্ব ঘোচাতে মরিয়া পাকিস্তান।
এক দশকেরও বেশি সময় যাবত অস্ট্রেলিয়া দলের অন্যতম ভরসা ওয়ার্নার। তবে টেস্টে তার সাম্প্রতিক বাজে ফর্ম সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে টেস্টে মাত্র ১টি সেঞ্চুরি করেছেন তিনি।এবার ওয়ার্নারের বিদায়ী টেস্ট সিরিজের আয়োজন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তারই সাবেক সতীর্থ পেসার মিচেল জনসন।
২০১৮ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় কেপটাউন টেস্টে বল টেম্পারিংয়ের সাথে ওয়ার্নারের জড়িত থাকার ঘটনা তুলে ধরেছেন জনসন। অস্ট্রেলিয়ার একটি পত্রিকার কলামে জনসন লিখেছেন, “ওয়ার্নারের বিদায়ী টেস্ট কেন এতটা গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। ফর্ম নিয়ে ধুঁকতে থাকা খেলোয়াড়কে কেন রাজকীয় বিদায় দিতে হবে, কেউ কি বলতে পারেন?”
পার্থে প্রথম টেস্টের জন্য অস্ট্রেলিয়া দল ঘোষণার সময় প্রধান নির্বাচক জর্জ বেইলি বলেছিলেন, “দলে জায়গা অর্জন করেছেন ওয়ার্নার।” তবে প্রথম টেস্টে বড় স্কোর করার নিশ্চয়তা না থাকলেও সিডনিতে আবেগঘন বিদায় নিতে হলে ওয়ার্নারকে অবশ্যই রান করার চাপ মোকাবেলা করতে হবে।
অস্ট্রেলিয়ার কোচ এন্ড্র ম্যাকডোনাল্ড বলেছেন, “প্রথম টেস্টে ওয়ার্নার খেলতে যাচ্ছে এবং এখান থেকেই আমরা শুরু করতে যাচ্ছি। আমরা অন্য কোন সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগ পর্যন্ত এটি অব্যাহত থাকবে। আমি মনে করি, তার দলে থাকার বিষয়টি আলোচনায় থাকবে।”
আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়াই পাকিস্তানের বিপক্ষে স্পস্টভাবে ফেবারিট। এ বছরটি স্বপ্নের মতো কাটচ্ছে অস্ট্রেলিয়ার। এ বছর টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ট্রফি জয়, অ্যাশেজ সিরিজ ধরে রাখার পর গত মাসেই রেকর্ড ষষ্ঠবারের মত ওয়ানডে বিশ্বকাপের শিরোপা জিতেছে অস্ট্রেলিয়া। বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ছিলেন ওয়ার্নার।
এদিকে, ১৯৬৪ সালে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে শুরুর পর এখন পর্যন্ত মাত্র ৪টি টেস্ট জিতেছে পাকিস্তান। ১৯৯৫ সালে নভেম্বরে সর্বশেষ জয়ের স্বাদ পেয়েছিল উপমহাদেশের দলটি। সিডনিতে ওই টেস্ট ৭৪ রানে জিতেছিল পাকিস্তান। সর্বশেষ ১৪ ম্যাচের সবগুলোতেই হেরেছে তারা। সব মিলিয়ে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ১২টি সিরিজ খেলে একবারও জিততে পারেনি পাকিস্তান।