মিরপুরে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বিশ্বের দ্বিতীয় ও বাংলাদেশের প্রথম ব্যাটার হিসেবে টেস্ট ক্রিকেটে ‘অবস্ট্রাক্টিং দ্য ফিল্ড’ আউট হয়েছেন অভিজ্ঞ ব্যাটার মুশফিকুর রহিম। বাংলাদেশের অভিজ্ঞ এ ক্রিকেটার ইনিংসের ৪১তম ওভারে এ লজ্জাজনক ঘটনার জন্ম দেন।
বুধবার সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টের প্রথম দিনের ৪১তম ওভারে এ ঘটনা ঘটে। পেসার কাইল জেমিসনের বলে রক্ষণাত্মক ভঙ্গিতে খেলে হাত দিয়ে বল সরিয়ে দেন মুশফিক। সাথে সাথে আউটের আবেদন করে নিউজিল্যান্ড দল। টিভি রিপ্লেতে মুশফিককে আউটের সিদ্ধান্ত দেন থার্ড আম্পায়ার।
ক্রিকেট আইন অনুসারে, বল খেলার মধ্যে থাকতে ব্যাটার যদি যে হাতে ব্যাট ধরা নেই, সেই হাত দিয়ে বল ধরেন, তবে তিনি আউট হবেন। তবে যদি চোটের হাত থেকে বাঁচতে বল ধরেন তবে আউট হবেন না। মুশফিক মূলত চোট থেকে বাঁচার জন্য নয়, বল যেন উইকেটে গিয়ে না লাগে সেটা ফেরাতেই হাত বাড়িয়ে দেন।
১৯৫১ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ইংল্যান্ডের লেন হাটন টেস্ট ক্রিকেটে প্রথম এমন আউট হন। ওই আউটটিকে বলা হত ‘হ্যান্ডলিং বল’। পরে ২০১৭ সাল থেকে এটিকে বলা হয় ‘অবস্ট্রাক্টিং দ্য ফিল্ড’। রেকর্ড অনুসারে ক্রিকেটের তিন ফরম্যাটে এখন পর্যন্ত মোট ১২ জন ক্রিকেটার এমন আউট হয়েছেন।
মুশফিকের এমন আউটে হতাশ হয়েছেন টেস্টের প্রথম দিন অল্প কিছুক্ষণের জন্য ধারাভাষ্য দেওয়া বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবাল। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ধারাভাষ্যকর হিসেবে তামিমের অভিষেক বাউন্ডারি দিয়ে সেটিকে স্বাগত জানান, মুশফিক। তবে কিছুক্ষণ পরই অদ্ভুতভাবে আউট হন বাংলাদেশের এ অভিজ্ঞ ক্রিকেটার।
সে সময় ধারাভাষ্যে থাকা তামিম ইকবাল বলেন, “আপনি (মুশফিক) এটি করতে পারেন না। এটা (বল) স্টাম্পে আঘাত করছিল না। সে গত ১৮ বছর ধরে ক্রিকেট খেলছে। এ নিয়ম ভালোভাবেই জানতেন। মুশফিকুরের মতো ক্রিকেটারের কাছ থেকে এমনটা আশা করা যায় না।”
তামিমের মত টাইগার ভক্তরাও হতাশ হয়েছেন মুশফিকের এমন আউটে। কারণ, বাংলাদেশের হয়ে এখন পর্যন্ত ৮৭টি টেস্ট খেলা মুশফিক ক্রিকেটের সকল নিয়ম সম্পর্কে বেশ ভালোভাবেই জানেন।
তবে মুশফিকের এমন আউটে হতাশ নন মেহেদী হাসান মিরাজ। ম্যাচ শেষে সংবাতদ সম্মেলনে মিরাজ বলেন, এমন ভুল হতেই পারে। তিনি (মুশফিক) এটা ইচ্ছা করে করেননি। খেলার মাঝে হঠাৎ এমন হতে পারি।" মুশফিকের এমন আউটের কথা বলতে গিয়ে বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কা ব্যাটারের ‘টাইম আউট’ হওয়ার বিষয়টিও স্মরণ করিয়ে দেন তিনি।