প্রথম ইনিংসের চেয়ে কেবল ২৩ রান বেশি করতে পেরেছিল দ্বিতীয় ইনিংসে। প্রথম ইনিংসে ১০৭ রানের সঙ্গে দ্বিতীয় ইনিংসে ১৩০ রান। দুই ইনিংস মিলে ২৩৭ রান। প্রথম ইনিংসে ইংল্যান্ডের করা ৩৯৬ রানের ধারে-কাছেও যেতে পারলো না ভারত। ফলে লর্ডস টেস্টে ইনিংস ও ১৫৯ রানের বিশাল ব্যবধানে স্বাগতিক ইংল্যান্ডের কাছে হেরে যেতে হলো বিরাট কোহলির ভারতকে।
দ্বিতীয় ইনিংসে শেষ মুহূর্তে ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দিয়েছিলেন হার্দিক পান্ডিয়া এবং রবিচন্দ্রন অশ্বিন। তবে খুব বেশি নয়। পান্ডিয়া মাত্র ২৬ রান করে আউট হয়ে যান। ৩৩ রানে অপরাজিত থেকে যান অশ্বিন।
দুই ইংলিশ পেসার জেমস অ্যান্ডারসন এবং স্টুয়ার্ট ব্রডের আগুনে বোলিংয়ের সামনেই দিশেহারা হয়ে যায় ভারত। দুই পেসারই নেন ৪টি করে ৮ উইকেট। বাকি দুই উইকেট নেন ক্রিস ওকস। অসাধারণ ব্যাটিং এবং বোলিং করার সুবাধে ম্যাচ সেরা হলেন ওকস।
ভারতের ম্যাচ বাঁচানোর জন্য মিরাকল কিছু ঘটানোর প্রয়োজন ছিল। না হয় বিরাট কোহলির দলের সামনে ইনিংস পরাজয় এড়ানোর কোনো সুযোগই ছিল না। প্রথম ইনিংসেই স্বাগতিক ইংল্যান্ডের চেয়ে ২৮৯ রান পিছিয়ে থাকার পর দ্বিতীয় ইনিংসে যেভাবে উইকেট পড়া শুরু হয়েছিল, তাতে নিশ্চিতই হয়ে পড়েছিল তাদের বড় ব্যবধানে পরাজয়। শেষ পর্যন্ত তাই হলো। ১৩০ রানে অলআউট হলো তারা।
ক্রিস ওকসের ১৩৭ রানের বিশাল ইনিংসের ওপর ভর করে প্রথম ইনিংসেই ইংল্যান্ড তুলে ফেলে ৩৯৬ রান। হারিয়েছিল ৭ উইকেট। এরপরই ইনিংস ঘোষণা করেন ইংলিশ অধিনায়ক জো রুট। ২৮৯ রানের লিড নিয়ে ভারতকে আমন্ত্রণ জানান দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করার।
প্রথম ইনিংসে যে দল মাত্র ১০৭ রানে অলআউট হয়ে গিয়েছিল, সেই দল দ্বিতীয় ইনিংসে ইংল্যান্ডের নেয়া ২৮৯ রানের লিড টপকাতে পারবে, তেমন সম্ভাবনা কম। সে কারণেই মূলতঃ আত্মবিশ্বাসী ছিল ইংল্যান্ড।
সেই আত্মবিশ্বাসে বলিয়ান হয়েই শুরু থেকে ভারতীয় ইনিংসে আক্রমণ শানায় ইংলিশ পেসাররা। বিশেষ করে স্টুয়ার্ট ব্রডের বলেই সবচেয়ে বেশি দিশেহারা হয়ে পড়েন ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা। চেতেশ্বর পুজারা, আজিঙ্কা রাহানে, বিরাট কোহলি এবং দিনেশ কার্তিককে সাজঘরের পথ দেখান তিনি।
মুরালি বিজয় এবং লোকেশ রাহুলকে ফিরিয়ে দিয়ে ভারতীয় ইনিংসে ধ্বস নামানোর শুরুটা করেন অ্যান্ডারসনই। এরপর আরও দুই উইকেট নেন তিনি।
ভারতীয়দের মধ্যে পুজারা আর কোহলিই কেবল ১৭ রান করে সংগ্রহ করেন। মুরালি বিজয় আর দিনেশ কার্তিক আউট হন গোল্ডেন ডাক মেরে। এর আগে এজবাস্টন টেস্টেও ইংল্যান্ডের কাছে হেরেছিল ভারত।
সংক্ষিপ্ত স্কোর :
১ম ইনিংস
ভারত : ১০৭
ইংল্যান্ড : ৩৯৬/৭, ৮৮.১ ওভার (ডিক্লে); (কুক ২১, জেনিংস ১১, রুট ১৯, পোপ ২৮, বেয়ারস্টো ৯৩, বাটলার ২৪, ওকস ১৩৭*, কারান ৪০; ইশান্ত ১/১০১, শামি ৯৬/৩, পান্ডিয়া ৩/৬৬, অশ্বিন ০/৬৮)
২য় ইনিংস
ভারত : ৪৭ ওভারে ১৩০ ( রাহুল ১০, পুজারা ১৭, রাহানে ১৩, কোহলি ১৭, পান্ডিয়া ২৬, অশ্বিন ৩৩*; অ্যান্ডারসন ৪/২৩, ব্রড ৪/৪৪, ওকস ২/২৪)
ফল : ইংল্যান্ড ইনিংস ও ১৫৯ রানে জয়ী
সিরিজ : পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ২-০তে এগিয়ে ইংল্যান্ড
ম্যান অব দ্য ম্যাচ : ক্রিস ওকস।