অধিনায়ক বেন স্টোকসের দুর্দান্ত সেঞ্চুরির পরও লর্ডস টেস্টে সফরকারী অস্ট্রেলিয়ার কাছে হারলো ইংল্যান্ড। অ্যাশেজ সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে স্বাগতিকইংল্যান্ডকে ৪৩ রানে হারিয়ে দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। এ জয়ে ২০০১ সালের পর ইংল্যান্ডের মাটিতে অ্যাশেজ জয়ের ভালো সুযোগ তৈরি হলো অসিদের।
১৫৫ রানের দুর্দান্ত খেলেও ইংল্যান্ডকে হারের মুখ থেকে রক্ষা করতে পারেননি স্টোকস। এ জয়ে পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল অস্ট্রেলিয়া। বার্মিংহামে সিরিজের প্রথম টেস্ট ২ উইকেটে জিতেছিল প্যাট কামিন্সের দল।
লর্ডস টেস্ট জিততে ম্যাচের চতুর্থ দিন শেষে ৩৭১ রানের টার্গেটে ৪ উইকেটে ১১৪ রান করেছিল ইংল্যান্ড। পঞ্চম ও শেষ দিন ২৫৭ রান দরকার পড়ে ইংলিশদের। অন্যদিকে, ৬ উইকেট প্রয়োজন ছিল অসিদের। বেন ডাকেট ৫০ ও স্টোকস ২৯ রানে অপরাজিত ছিলেন।
পঞ্চম দিন ডাকেটকে ৮৩ রানে থামিয়ে ব্রেক থ্রু এনে দেন অস্ট্রেলিয়ার পেসার জশ হ্যাজেলউড। সাত নম্বরে ১০ রানে বির্তকিত স্টাম্প আউট হন উইকেটরক্ষক জনি বেয়ারস্টো। দলীয় ১৯৩ রানে ষষ্ঠ উইকেট পতনের পর স্টুয়ার্ট ব্রডকে নিয়ে লড়াই করেন স্টোকস।
অস্ট্রেলিয়ার বোলারদের সামনে প্রতিরোধ গড়ে ১২২ বলে ১০৮ রানের জুটি গড়েন স্টোকস ও ব্রড। জুটিতে ৮৮ বলে ৯৩ রান করে টেস্ট ক্যারিয়ারের ১৩তম সেঞ্চুরি তুলে নেন স্টোকস।
সেঞ্চুরির পরই নিজের ইনিংস বড় করে দেড়শ পার করেন স্টোকস। ইংলিশ অধিনায়কের দুর্দান্ত সেঞ্চুরিতে দলীয় রান ৩শ স্পর্শ করলে জয়ের স্বপ্ন দেখতে থাকে ইংল্যান্ড। তবে দলীয় ৩০১ রানে স্টোকসকে থামিয়ে অস্ট্রেলিয়াকে ব্রেক-থ্রু এনে দেন হ্যাজেলউড। ৯টি করে চার-ছক্কায় ২১৪ বলে ১৫৫ রান করেন স্টোকস।
স্টোকস ফেরার পর ইংল্যান্ডের টেল এন্ডারদের লড়াই করতে দেয়নি অস্ট্রেলিয়ার বোলাররা। ৩২৭ রানে শেষ হয় ইংল্যান্ডের ইনিংস। শেষ দিকে জশ টাং ১৯, ব্রড ১১, ওলি রবিনসন ১ রান করেন। জেমস এন্ডারসন ৩ রানে অপরাজিত থাকেন।
অস্ট্রেলিয়ার মিচেল স্টার্ক-হ্যাজেলউড ও কামিন্স ৩টি করে উইকেট নেন। প্রথম ইনিংসে ১১০ ও দ্বিতীয় ইনিংসে ৩৪ রান করা স্মিথ ম্যাচ সেরা নির্বাচিত হন।
অস্ট্রেলিয়া প্রথম ইনিংসে ৪১৬ ও দ্বিতীয় ইনিংসে ২৭৯ রান করে। ইংল্যান্ড প্রথম ইনিংসে ৩২৫ রান করেছিল।