নিজেদের রেকর্ড গড়া টেস্টে ভারতীয় বোলারদের সামনে মাত্র ২৮৭ রানে অলআউট হয়েছিল ইংল্যান্ড। তবে ইংল্যান্ডকে অল্প রানে আটকে দিয়ে ব্যাট হাতে কোহলিরাও ভালো করতে পারেননি।
ইংল্যান্ডের বোলারদের সামনে সবকয়টি উইকেট হারিয়ে মাত্র ২৭৪ রান সংগ্রহ করেছে ভারত। ফলে প্রথম ইনিংসে অল্প রান করেও ১৩ রানের লিড পেয়েছে ইংল্যান্ড।
প্রথম দিনের ২৮৫ রানের সঙ্গে দ্বিতীয় দিন বৃহম্পতিবার শেষ উইকেটে মাত্র ২ রান যোগ করে ইংল্যান্ড। ফলে সব কয়টি উইকেট হারিয়ে ইংল্যান্ডের সংগ্রহ দাঁড়ায় ২৮৭ রান।
ভারতের বোলাররা এজবাস্টনে ভারতকে উড়ন্ত সূচনা এনে দিলেও ব্যাটসম্যানরা পারেননি। শতরান তুলতেই ৫ উইকেট হারায় সফরকারীরা।উদ্বোধনী জুটিতে মুরালি বিজয় ও শেখর ধাওয়ান ৫০ রানের জুটি গড়েন। তবে ১৩তম ওভারে জোড়া আঘাত করেন বাঁহাতি পেসার স্যাম কুরান।
প্রথমে মুরালি বিজয়কে (২০) এলবিডব্লিউ করেন। এক বল পর লোকেশ রাহুল (৪) বোল্ড হন। পরের ওভারে ফিরে এসে তার বাইরে যাওয়া ডেলিভারিতে খোঁচা দিয়ে দ্বিতীয় স্লিপে ক্যাচ দেন শেখর ধাওয়ান (২৬)।
মধ্যাহ্ন বিরতির আগে ৩ উইকেট হারিয়ে কিছুটা ব্যাকফুটে চলে যায় ভারত। বিরতির পর ফিরে এসে বেন স্টোকস জোড়া আঘাত করেন। পরপর দুই ওভারে আজিঙ্কা রাহানে (১৫) ও দিনেশ কার্তিককে (০) আউট করেন স্টোকস। দলীয় রান তিন অঙ্কের ঘরে যেতেই ভারতের ৫ ব্যাটসম্যান চলে যান সাজঘরে।
তবে ব্যাট হাতে রানের চাকা সচল রাখেন অধিনায়ক বিরাট কোহলি। ক্যারিয়ারের ২২তম টেস্ট সেঞ্চুরিও তুলে নেন তিনি। তবে অন্যপ্রান্তে একের পর এক উইকেট পরতে থাকায় শেষ ব্যাটসম্যানকে নিয়ে এগিয়ে যেতে থাকেন। শেষ পর্যন্ত ১৪৯ রানের তিনি থেমে যান। ইংল্যান্ড পেয় যায় ১৩ রানের লিড।
এর আগে বিশ্বের প্রথম দল হিসেবে গতকাল বার্মিংহামে ১ হাজারতম টেস্ট খেলতে নেমে টস জিতে ইংল্যান্ড। টস জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্বান্ত নিয়ে ভালো করতে পারেনি ইংলিশরা। দিন শেষে ৮৮ ওভারে ৯ উইকেটে ২৮৫ রান করে ইংলিশরা। এছাড়া দ্বিতীয় দিন ব্যাট করতে নেমে শেষ উইকেটে মাত্র ২ রান যোগ করতেদ পারে ইংল্যান্ড। ফলে প্রথম ইনিংসে তাদের সংগ্রহ দাঁড়ায় ২৮৭ রান।
দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৮০ রান করেন অধিনায়ক জো রুট। তার ১৫৬ বলের ইনিংসে ৯টি চার ছিল। এছাড়া উইকেটরক্ষক জনি বেয়ারস্টো ৯টি চারে ৮৮ বলে ৭০, ওপেনার কিটন জেনিংস ৪টি চারে ৯৮ বলে ৪২ ও টেল-এন্ডার ব্যাটসম্যান স্যাম কারান ৩টি চারে ৬৭ বলে অপরাজিত ২৪ রান করেন।
ভারতের অফ-স্পিনার রবীচন্দ্রন অশ্বিন ২৫ ওভার বল করে ৬০ রানে ৪ উইকেট নেন। এছাড়া মোহাম্মদ সামি ২টি, উমেশ যাদব-ইশান্ত শর্মা ১টি করে উইকেট নেন।