স্পোর্টসমেইল২৪
হাতে ২ উইকেটে নিয়ে জয়ের জন্য অস্ট্রেলিয়ার দরকার ছিল ৫৪ রান। নবম উইকেটে ৭২ বলে অবিচ্ছিন্ন ৫৫ রান তুলে অ্যাশেজের প্রথম টেস্টে রোমাঞ্চকর জয় এনে দেন দুই লোয়ার অর্ডার ব্যাটার অধিনায়ক প্যাট কামিন্স ও নাথান লিঁও। ২৮১ রানের টার্গেটে ৮ উইকেটে ২৮২ রান তুলে স্বাগতিক ইংল্যান্ডকে ২ উইকেটে হারিয়ে দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া।
বার্মিংহামের এডজবাস্টনে ২৮১ রানের টার্গেটে চতুর্থ দিন শেষে ৩ উইকেটে ১০৭ রান করেছিল অস্ট্রেলিয়া। ৭ উইকেট হাতে নিয়ে পঞ্চম ও শেষ দিন ১৭৪ রান দরকার ছিল অসিদের। বৃষ্টি কারণে পঞ্চম ও শেষ দিনের প্রথম সেশনে ভেস্তে যায়।
দিনের সম্ভাব্য ৬৭ ওভার হাতে রেখে দ্বিতীয় সেশনে মাঠে নামে ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া। উসমান খাজা ৩৪ ও নাইটওয়াচম্যান স্কট বোল্যান্ড ১৩ রান নিয়ে খেলতে নামেন। দিনের অষ্টম ওভারে বোল্যান্ডকে ২০ রানে আউট করেন পেসার স্টুয়ার্ট ব্রড। এরপর ট্রাভিস হেডের সাথে ২২ ও ক্যামেরুন গ্রিনকে নিয়ে ৪৯ রান যোগ করেন খাজা।
হেড ১৬ ও গ্রিন ২৮ রানে থামলেও ধৈর্য্যশীল ব্যাটিংয়ে ১৪৩ বলে টেস্ট ক্যারিয়ারের ২২তম হাফ-সেঞ্চুরি তুলে নেন খাজা। হাফ-সেঞ্চুরির পর নিজের ইনিংস বড় করার পথে ছিলেন প্রথম ইনিংসে ১৪১ রান করা খাজা। তবে দলীয় ২০৯ রানে ইংল্যান্ডের অধিনায়ক বেন স্টোকসের লেগ কাটার স্লোয়ার বলে ইনসাইড এডজ হয়ে বোল্ড হন খাজা। তার আউটে বড়সড় ধাক্কা খায় অস্ট্রেলিয়া। ১৯৭ বল খেলে ৭টি চারে ৬৫ রান করেন খাজা।
এরপর অ্যালেক্স ক্যারিকে ২০ রানে থামিয়ে দেন ইংল্যান্ডের স্পিনার জো রুট। ২২৭ রানে অষ্টম উইকেট পতনে হারের শঙ্কায় পড়ে অস্ট্রেলিয়া। জয় থেকে ৫৪ রান দূরে তখন অসিরা। এ অবস্থায় জুটি বাঁধেন কামিন্স ও লিঁও। রুটকে এক ওভারে ২টি ছক্কা মেরে ম্যাচ উত্তেজনা বাড়ান কামিন্স।
এক প্রান্তে রান তোলার কাজটা কামিন্স সাড়লেও অন্যপ্রান্তে অধিনায়ককে সঙ্গ দিচ্ছিলেন লিঁও। দু’জনের দারুণ জুটিতে ধীরে ধীরে জয়ের দিকে এগোতে থাকে অস্ট্রেলিয়া। ৯৩তম ওভারের তৃতীয় দলে চার মেরে অস্ট্রেলিয়ারকে অবিস্মরণীয় জয় এনে দেন কামিন্স।
অ্যাশেজে রান তাড়া করে অস্ট্রেলিয়ার ম্যাচ জয়ে এটি চতুর্থস্থানে জায়গা পেয়েছে। ৪টি চার ও ২টি ছক্কায় ৭৩ বলে ৪৪ রানে অপরাজিত থাকেন কামিন্স। ২টি বাউন্ডারিতে ২৮ বলে অপরাজিত ১৬ রান করেন লিঁও।
প্রথম ইনিংসে ১৪১ ও দ্বিতীয় ইনিংসে ৬৫ রান করায় ম্যাচ সেরা হন অস্ট্রেলিয়ার খাজা। এ টেস্টে অনন্য এক রেকর্ড গড়েছেন খাজা। বিশ্বের ১৩তম খেলোয়াড় হিসেবে পাঁচ দিনের টেস্ট ম্যাচের প্রতিদিনই ব্যাট করেছেন খাজা।