‘টেস্ট ক্রিকেটে খুব একটা ভালো দল নয় বাংলাদেশ’ -এমন কথা প্রায় শোনা যেত। টেস্টে নবাগত আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম দেখাতেও পেতে হয়েছিল হারের লজ্জা। তবে সেই দুর্নাম থেকে দূরে সরে আসতে শুরু করেছে বাংলাদেশ টেস্ট দল। ঘরের মাঠে সেই আফগানিস্তানের বিপক্ষে টাইগাররা এবার তুলে নিল রেকর্ড রানের জয়। ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক লিটন দাসের নেতৃত্বে পুরো ম্যাচেই চালকের আসনে ছিল বাংলাদেশ।
ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে ভারপ্রাপ্ত হিসেবে অধিনায়কত্ব করলেও টেস্টে লিটন দাসের এটাই ছিল প্রথম নেতৃত্ব। নিজের প্রথম অধিনায়কত্বের টেস্ট ম্যাচেই বাংলাদেশকে উপহার দিয়েছেন রেকর্ড রানের জয়। তবে বলে-ব্যাটে দলের ক্রিকেটাররা তার কাজটি সহজ করে দিয়েছেন বলে জানালেন লিটন দাস।
বিশেষ করে ব্যাটার নাজমুল হোসেন শান্ত জোড়া সেঞ্চুরি দলের জয় দারুণ আবদান রেখেছে। অধিনায়ক লিটন দাসের মতে, প্রথম ইনিংসে মূলত শান্তর সেঞ্চুরিতে জয়ের ধারণা পেয়েছিলেন তিনি। শান্তর সঙ্গে জয়ের ব্যাটিংও লিটনের মন জয় করেছে।
টেস্ট জয়ের পর সংবাদ সম্মেলনে দলের জয় নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে লিটন দাস বলেন, “যখন প্রথম ইনিংসে শান্ত ও জয়ের ভিত্তিতে আমরা ভালো স্কোর করলাম, তখন থেকে আমরা বিশ্বাস করছিলাম (জয় পাব)। কারণ, প্রথম ইনিংসের উপর অনেক কিছু নির্ভর করছে।”
তিনি বলেন, “তাদের (আফগানিস্তান) আমরা দেড়শো (১৪৬ রান) আগে অলআউট করেছি। কাজেই ব্যবধানটা তখনই বোঝা গেছে, কোন পথে যেতে পারি। কিন্তু কঠিন উইকেট ছিল। দ্বিতীয় ইনিংসেও আমাদের ব্যাটাররা যেভাবে খেলেছে, এটা সম্পূর্ণ ক্রেডিট আমাদের ব্যাটার ও বোলার, পুরো দলের।”
টেস্ট ক্রিকেটে নিজের প্রথম অধিনায়কত্ব নিয়ে লিটন দাস বলেন, “অধিনায়কত্ব খুব উপভোগ করেছি। বোলাররা যেভাবে আমাকে সহায়তা করেছে। বিহাইন্ড দ্য বল দেখছি যে, বোলাররা বল ক্যারি করাচ্ছে, কিপিং করতেও মজা। অধিনায়ক থাকি তখন ভালো লাগে যে, উইকেট পাওয়ার সুযোগ থাকে।”
রানের দিক দিয়ে বাংলাদেশের এটি সর্বোচ্চ রানের জয়। এছাড়া টেস্ট ইতিহাস তৃতীয় সর্বোচ্চ রানের জয়। রেকর্ড ব্যবধানে জয়ের বিষয়ে তিনি বলেন,
“অবশ্যই এটা তো যখন চাইবেন তখনই হবে না, এ রকম একটা ব্যবধান (৫৪৬ রান)। এটার জন্য কৃতিত্ব ব্যাটারদের, কারণ উইকেটটা এত সহজ ছিল না।”
লিটন দাস বলেন, “প্রতিটা ব্যাটারকে কৃতিত্ব দিতে হবে। সত্য কথা আমাদের বোলাররাও খুবই ভালো বল করেছে। লাইন-লেন্থ মেনে বল করেছে। এটা টেস্ট ক্রিকেট কাজে বড় অর্জন। এ রকম জিততে পারলে, এর থেকে বড় কিছু চাওয়ার থাকতে পারে না। অধিনায়ক হিসেবে এর থেকে বড় ব্যবধানে চাইতে পারেন না কখনো।”