ভারতকে বিধ্বস্ত করে দ্বিতীয় বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতলো অস্ট্রেলিয়া। ইংল্যান্ডের ওভালে অনুষ্ঠিত ফাইনালে ভারতকে ২০৯ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়ে দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। ২০২১ সালেও ফাইনালে উঠে শিরোপা বঞ্চিত হয়ছিল ভারত। সাউদাম্পটনের ফাইনালে নিউজিল্যান্ডের কাছে ৮ উইকেটে হেরেছিল টিম ইন্ডিয়া।
ফাইনাল জিততে টেস্টের চতুর্থ দিন ৪৪৪ রানের টার্গেট পায় ভারত। দিন শেষে ৩ উইকেটে ১৬৪ রান করেছিল টিম ইন্ডিয়া। অধিনায়ক রোহিত শর্মা ৪৩, শুভমান গিল ১৮ ও চেতেশ্বর পূজারা ২৭ রানে আউট হন। বিরাট কোহলি ৪৪ ও আজিঙ্কা রাহানে ২০ রানে অপরাজিত ছিলেন। ৭ উইকেট হাতে আরও ২৮০ রান দরকার ছিল ভারতের।
রোববার (১১ জুন) পঞ্চম দিনের সপ্তম ওভারে প্রথম উইকেট হারায় ভারত। অস্ট্রেলিয়া পেসার স্কট বোল্যান্ডের বলে দ্বিতীয় স্লিপে ডান দিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে কোহলির দুর্দান্ত ক্যাচ নেন স্টিভেন স্মিথ। ৭টি চারে ৭৮ বলে ৪৯ রান করেন কোহলি। চতুর্থ উইকেটে কোহলি-রাহানে ১৫৭ বলে ৮৬ রান যোগ করেন।
কোহলির বিদায়ে উইকেটে আসেন রবীন্দ্র জাদেজা। দু’বল খেলে কোন রান না করেই বোল্যান্ডের বলে আউট হন জাদেজা। এরপর উইকেটরক্ষক শ্রীকর ভরতকে নিয়ে এক ওভারে দুই উইকেট হারানোর ধাক্কা সামলে উঠার চেষ্টা করেন রাহানে। জুটিতে ৯ ওভার ভালোভাবে কাটিয়েও দেন তারা।
কিন্তু দশম ওভারের রাহানেকে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিতে বাধ্য করেন অস্ট্রেলিয়ার পেসার মিচেল স্টার্ক। ৭টি চারে ১০৮ বল খেলে ৪৬ রান করেন রাহানে।
দলীয় ২১২ রানে ষষ্ঠ ব্যাটার হিসেবে রাহানের আউটের পর ভারতের লেজ ছেঁটে ফেলেন অস্ট্রেলিয়ার স্পিনার নাথান লিঁও। শেষ চার উইকেটের তিনটিই নেন তিনি। ৬৩ দশমিক ৩ ওভারে ২৩৪ রানে গুটিয়ে যায় ভারত।
শেষদিকে ভরত ২৩, শারদুল ঠাকুর শূন্য, উমেশ যাদব ১ ও মোহাম্মদ সিরাজ ১ রানে আউট হন। ১৩ রানে অপরাজিত থাকেন মোহাম্মদ সামি।
বল হাতে অস্ট্রেলিয়ার লিঁও ৪১ রানে ৪টি উইকেট নেন। এছাড়াও বোল্যান্ড ৩টি, স্টার্ক ২টি ও প্যাট কামিন্স ১টি উইকেট নেন। ফাইনালের সেরা খেলোয়াড় হয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার ট্রাভিস হেড। প্রথম ইনিংসে ১৬৩ ও দ্বিতীয় ইনিংসে ১৮ রান করেন তিনি।
আইসিসি ইভেন্টে এই নিয়ে সপ্তম শিরোপা জিতলো অস্ট্রেলিয়া। ওয়ানডে বিশ^কাপ পাঁচবার, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ একবার এবং এবার আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিনশিপের শিরোপা ঘরে তুললো অসিরা।