দ্বিতীয় বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালের প্রথম দিনই ভারতের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করেছেন অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটার ট্রাভিস হেড। চতুর্থ উইকেটে সাবেক অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথের সাথে অবিচ্ছিন্ন ২৫১ রানের জুটি গড়ার পথে ১৪৬ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেন হেড। শেষ পর্যন্ত ১৬৩ রানে তাকে থামতে হয়েছে।
স্মিথের ছায়ায় দুর্দান্ত সেঞ্চুরি পেয়ে খুশি হেড। প্রথম দিন শেষে ৯৫ রানে অপরাজিত থেকে স্মিথও সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন। দ্বিতীয় দিন সাজঘলে ফেরার আগে ১২১ রান করেন তিনি। প্রথম দিন শেষে ৩ উইকেটে অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ ছিল ৩২৭ রান।
এ প্রজন্মের সেরা ব্যাটারদের একজন স্মিথ। ৯৬ টেস্টে ৩০টি সেঞ্চুরিতে ৮৭৯২ রান করেছেন তিনি (ফাইনাল বাদে)। ভারতের বিপক্ষে ফাইনালে ১৪টি চারে ৯৫ রানের ইনিংস খেলে আবারও নিজের যোগ্যতার প্রমাণ দিয়েছেন স্মিথ। তবে অপরাজিত ১৪৬ রান করে অস্ট্রেলিয়াকে পথ দেখান হেড।
ফাইনালে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৭৬ রানে ৩ উইকেট হারায় অস্ট্রেলিয়া। পাঁচ নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমে ভারতীয় বোলারদের উপর পাল্টা আক্রমণ চালান হেড। তার মারমুখী সেঞ্চুরিতে শুরুর ধাক্কা সামলে ৩ উইকেটে ৩২৭ রানে পৌঁছে যায় অস্ট্রেলিয়া।
স্মিথের সাথে জুটি নিয়ে হেড বলেন, “যখনই আমি ব্যাট করি তখনই মনে হয় আমি স্মিথের ছায়ায় আছি, তার ছায়াতলে থেকে আমি নিজের মতো খেলতে পারি। কারণ, সব আকর্ষণ স্মিথের উপরই থাকে।”
১৫৬ বল খেলে ২২টি চার ও ১টি ছক্কায় দুর্দান্ত ইনিংসটি সাজানো হেড বলেন, “আমাদের জুটিটি সত্যিই ভালোভাবে কাজে দিয়েছে।”
৩৭ ম্যাচের টেস্ট ক্যারিয়ারে ষষ্ঠ সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন হেড। এর মধ্যে দেশের বাইরে এ প্রথম সেঞ্চুরি করলেন তিনি। আগামী সপ্তাহ থেকে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এডজবাস্টনে শুরু হতে যাওয়া পাঁচ ম্যাচের অ্যাশেজ সিরিজের আগে এমন সেঞ্চুরি তাকে বাড়তি আত্মবিশ্বাস দিবে।
হেড বলেন, “আমার অর্জনে নতুন একটি মাত্রা যোগ হলো, ভবিষ্যতে এটিকে আমি সুন্দর স্মৃতি হিসেবে দেখবো।”
এই নিয়ে টানা দ্বিতীয়বার টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল খেলছে ভারত। ২০২১ সালে প্রথম আসরের ফাইনালে নিউজিল্যান্ডের কাছে হেরেছিল তারা। এবারের ফাইনালে বোলারদের হাত ধরে শুরুটা দারুণ ছিল ভারতের। বল হাতে চতুর্থ ওভারে দলীয় ১ রানে উসমান খাজাকে খালি হাতে ফিরিয়ে দেন ভারতের পেসার মোহাম্মদ সিরাজ। তবে পরবর্তীতে লাইন-লেন্থ ধরে রাখতে পারেনি ভারতীয় বোলাররা।
প্রথম দিনের খেলা শেষে ভারতের বোলিং কোচ পরশ মামব্রে বলেছেন, “আমি মনে করি, প্রথম ১২-১৫ ওভার আমরা সঠিক জায়গায় বোলিং করেছি। তবে পরের দিকে আমরা লাইন-লেন্থে বোলিং করতে পারিনি।”
একাদশে অশ্বিনের না থাকা নিয়ে তিনি বলেন, “একজন চ্যাম্পিয়ন বোলারকে বাদ দেওয়াটা সবসময় খুব কঠিন সিদ্ধান্ত। কিন্তু সকালের কন্ডিশন দেখে আমি ভেবেছিলাম, অতিরিক্ত পেসার থাকলে উপকার পাওয়া যাবে।”