আইসিসি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে থেকে নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার পেসার জশ হ্যাজেলউড। ইনজুরি থেকে পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠতে না পারায় ভারতের বিপক্ষে ফাইনালে খেলতে পারবেন না তিনি। তার জায়গায় দলে সুযোগ পেয়েছেন আরেক পেসার মাইকেল নেসার।
জানুয়ারিতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিডনি টেস্টে অ্যাকিলিস ইনজুরিতে পড়েন হ্যাজেলউড। এরপর থেকে লাল বলের ক্রিকেটে খেলেননি তিনি। সর্বশেষ আইপিএল দিয়ে মাঠে ফিরলেও পুরনো ইনজুরি পিছু ছাড়েনি তাকে। আইপিএলে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুর হয়ে তিন ম্যাচ খেলে মাঝপথেই দেশে ফিরেন হ্যাজেলউড।
ইনজুরি থেকে পুরোপুরি সুস্থ না হলেও টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালের দলে রাখা হয় হ্যাজেলউডকে। সম্প্রতি অনুশীলন সেশনে পুরোদমে বোলিং করলেও অস্বস্তিবোধ করায় এবং ইংল্যান্ডের বিপক্ষে পাঁচ টেস্টের অ্যাশেজ সিরিজ থাকায় তাকে নিয়ে ঝুঁকি নিতে রাজি নন নির্বাচকরা।
বিবৃতিতে অস্ট্রেলিয়ার প্রধান নির্বাচক জর্জ বেইলি বলেন, “খেলার জন্য সবুজ সংকেত পাওয়ার খুব কাছে ছিল জশ। তবে আমরা জানি, আমাদের সামনে সূচি মানেই এই একটি মাত্র টেস্ট নয়। এজবাস্টনের আগে এখন আদর্শ প্রস্তুতির সুযোগ পাবে হ্যাজেলউড। সাত সপ্তাহের একটু বেশি সময়ের মধ্যে ছয়টি টেস্ট থাকায় পেস বোলিংয়ের আমাদের সব অস্ত্রই লাগবে।”
কাউন্টি ক্রিকেটে গ্লামোরগানের হয়ে দারুণ ছন্দে রয়েছেন নেসার। তবে হ্যাজেলউডের জায়গায় প্যাট কামিন্স, মিচেল স্টার্ক ও নাথান লিঁওর সাথে বোলিং আক্রমণে থাকার দৌঁড়ে এগিয়ে স্কট বোল্যান্ড।
নেসারের দলে সুযোগের ব্যাপারে বেইলি বলেন, “কাউন্টিতে দারুণ ফর্মের কারণে দলে সুযোগ পাওয়ার ক্ষেত্রে এগিয়ে ছিলেন নেসার। তার অর্ন্তভুক্তি পেস বোলিং ইউনিটের শক্তি বাড়াবে।”
সম্প্রতি কাউন্টিতে ৫ ম্যাচে ১৯ উইকেট নিয়েছেন নেসার। সাসেক্সের বিপক্ষে ব্যাট হাতে আট নম্বরে নেমে ১২৩ রানের দুর্দান্ত ইনিংসও খেলেন তিনি। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ২টি করে টেস্ট ও ওয়ানডে খেলার অভিজ্ঞতা আছে নেসারের। টেস্টে ৭ ও ওয়ানডেতে ২ উইকেট নিয়েছেন তিনি।
৭ জুন থেকে ইংল্যান্ডের ওভালে শুরু হবে দ্বিতীয় বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল। ১৬ জুন থেকে এডজবাস্টনে শুরু হবে অ্যাশেজ সিরিজ।