ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয়ের সেঞ্চুরিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ‘এ’ দলের বিপক্ষে তৃতীয় ও শেষ অনানুষ্ঠানিক টেস্ট ড্র করলো বাংলাদেশ ‘এ’ দল। প্রথম টেস্ট বৃষ্টিতে ড্র হওয়ার পর দ্বিতীয়টি ৩ উইকেটে জিতেছিল সফরকারীরা। ফলে তিন ম্যাচের সিরিজ ১-০ ব্যবধানে জিতে নিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টেস্ট জিততে ৪৬১ রানের টার্গেট পেয়েছিল বাংলাদেশ। জবাবে তৃতীয় দিন শেষে স্বাগতিকদের সংগ্রহ ছিল বিনা উইকেটে ৪৭ রান। ম্যাচ জিততে চতুর্থ ও শেষ দিন ১০ উইকেট হাতে নিয়ে বাংলাদেশকে করতে হতো আরও ৪১৪ রান।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দুই ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয় ২৮ ও জাকির হাসান ১৪ রান নিয়ে চতুর্থ দিন খেলতে নামেন। দলের স্কোর বড় করে শতরানের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলেন জয় ও জাকির। তবে ৩২তম ওভারে দলীয় ৯৩ রানে বিচ্ছিন্ন হন তারা।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্পিনার কেভিন সিনক্লেয়ারের বলে ব্যক্তিগত ৪৩ রানে আউট হন ৯৫ বল খেলে ৬টি চার মারা জাকির। তিন নম্বরে ব্যাট হাতে নেমে আরও একবার ব্যর্থ হন নামা সাবেক টেস্ট অধিনায়ক মমিনুল হক। প্রথম ইনিংসের মত এবারও ৫ রানে আউট হন তিনি।
১০৭ রানে ২ উইকেট পতনের পর অধিনায়ক সাইফ হাসানের সাথে বড় জুটির চেষ্টা করেন জয়। ৫৩ রান যোগ করার পর বিচ্ছিন্ন হন তারা। ৫টি চার ও ১টি ছক্কায় ৪৯ বলে ৩৮ রান করেন সাইফ।
এরপর চতুর্থ উইকেটে ইয়াসির আলিকে নিয়ে শতরানের জুটি গড়েন জয়। এ জুটিতেই সেঞ্চুরির দেখা পান প্রথম ইনিংসে ৯ রান করা জয়। বাউন্ডারি মেরে ২২৩ বলে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন তিনি।
জয়ের শতকের পর হাফ-সেঞ্চুরি করে দিনের শেষ বেলায় চতুর্থ ব্যাটার হিসেবে আউট হন ইয়াসির। ৬টি চার ও ৪টি ছক্কায় ৮৫ বলে ৬৭ রান করেন ইয়াসির। চতুর্থ উইকেটে জয়-ইয়াসিরের ১১৭ রানের জুটিতে ম্যাচটি নিশ্চিত ড্র’র দিকে এগিয়ে যায়।
শেষ পর্যন্ত শাহাদাত হোসেন-জয়ের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে ম্যাচটি ড্র’তে শেষ হয়। ৯১ ওভারে ৪ উইকেটে ৩০৬ রান করে বাংলাদেশ। ১৪টি চারে ২৬৮ বলে ১১৪ রানে অপরাজিত ছিলেন জয়। ৩৯ বলে অপরাজিত ২০ রান করেন শাহাদাত। ওয়েস্ট ইন্ডিজের সিনক্লেয়ার ৩ উইকেট নেন। ম্যাচ সেরা হয়েছেন জয়।
দুই ইনিংসে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৪৪৫ ও ৫ উইকেটে ২২০ রান করেছিল। প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের সংগ্রহ ছিল ২০৫ রান। এর মধ্য দিয়ে হলো বাংলাদেশ ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ ‘এ’ দলের মধ্যকার লড়াই।