ব্যাটিং ব্যর্থতার ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ইনিংস ব্যবধানে হারের শঙ্কায় পড়েছিল বাংলাদেশ ‘এ’ দল। তবে সাদমান ইসলাম, জাকের আলি অনিক এবং রিশাদ হোসেনের ব্যাটিং দৃঢ়তায় উইন্ডিজ ‘এ’ দলের বিপক্ষে চারদিনের প্রথম আনঅফিসিয়াল টেস্টটি ড্রতে শেষ করেছে বাংলাদেশ।
প্রথম ইনিংসে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ৭ উইকেটে ৪২৭ রানের জবাবে ২৬৪ রানে অলআউট হয়েছিল বাংলাদেশ। প্রথম ইনিংসে ১৬৩ রানে পিছিয়ে ফলো-অনে পড়ে তৃতীয় দিন শেষে দ্বিতীয় ইনিংসে বিনা উইকেটে ৫ রান করে বাংলাদেশ। ফলে ১০ উইকেট হাতে নিয়ে ১৫৮ রানে পিছিয়ে ছিল স্বাগতিকরা।
ম্যাচ বাঁচানোর লক্ষ্য নিয়ে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শুক্রবার (১৯ মে) চতুর্থ ও শেষ দিন খেলতে নামে বাংলাদেশ। ২৮ রানের ব্যবধানে ২ উইকেট হারায় তারা। ওপেনার জাকির হাসান শূন্য ও সাইফ হাসান ৬ রানে আউট হন।
মিডল অর্ডারে মাহমুদুল হাসান জয় ও অধিনায়ক আফিফ হোসেনও বড় ইনিংস খেলতে ব্যর্থ হন। জয় ২০ ও আফিফ ৯ রান করেন। তবে এক প্রান্ত আগলে হাফ-সেঞ্চুরি তুলে নেন সাদমান। শেষ পর্যন্ত ৯টি চারে ৬৪ রানে আউট হন তিনি।
এরপর নাইম হাসান ১১ ও তানজিম হাসান সাকিব ৩ রানে থামেন। এতে ১৩২ রানে সপ্তম উইকেট হারিয়ে ইনিংস হারের শঙ্কায় পড়ে বাংলাদেশ। এ অবস্থায় জুটি বাঁধেন উইকেটরক্ষক জাকের ও রিশাদ।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বোলারদের সামনে টিকে থাকার লড়াই শুরু করেন তারা। দু’জনের ব্যাটিং দৃঢ়তায় লিডও পেয়ে যায় বাংলাদেশ। দিনের খেলা শেষ হবার আগ পর্যন্ত অবিচ্ছিন্ন থেকে বাংলাদেশকে হারের মুখ রক্ষা করেন জাকের ও রিশাদ। ৭ উইকেটে ১৮৭ রান করে ম্যাচ ড্র করে বাংলাদেশ ‘এ’ দল।
জাকের ৬৭ বল খেলে অপরাজিত ৩৬ ও রিশাদ ৪১ বলে অপরাজিত ২০ রান করেন। দু’জনে ২টি করে চার ও ১টি করে ছক্কা মারেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের জাইর ম্যাকঅ্যালিস্টার ও গুদাকেশ মোতি ২টি করে উইকেট নেন।