রবিচন্দ্রন অশ্বিন নিয়েছেন ছয় উইকেট। যদিও অন্য ম্যাচের মতো এই উইকেট গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে না। কারণ তার আগেই যে উসমান খাজা (১৮০) ও ক্যামেরুন গ্রীনের (১১৪) সেঞ্চুরিতে পাঁচশো ছুঁই ছুঁই স্কোর করে ফেলে অস্ট্রেলিয়া।
১৬৭.২ ওভারে অলআউট হওয়ার আগে অষ্ট্রেলিয়ার স্কোর দাঁড়ায় ৪৮০ রান। ভারতের মাটিতে এতো বেশি রান দেখা তাদের কাছে তো স্বপ্নের মতোই।
প্রথম ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে শুক্রবার দ্বিতীয় দিন শেষে ভারত বিনা উইকেটে তুলেছে ৩৬ রান। দশ উইকেট হাতে নিয়ে তারা এখনও ৪৪৪ রান পিছিয়ে।
টানা তিন টেস্টে ঘূর্ণি উইকেটের পর এবার ব্যাটারদের জন্য আরামদায়ক উইকেট দিল আহমেদাবাদ। তবে উইকেটের চেয়েও সুন্দর ছিল খাজা ও গ্রীনের ব্যাটিং।
খাজা তুলে নেন ক্যারিয়ারের ১৪তম শতক। সুযোগ ছিল প্রথম ডাবল সেঞ্চুরিরও। ঘরের মাটিতে যেটা খুব কাছে গিয়েও পারেননি তিনি। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে এবছরই অধিনায়ক ইনিংস ঘোষণা করায় ১৯৫* রানে অপরাজিত থেকে আফসোসে পুড়তে হয় খাজাকে।
ভারতে এসেছিল আরেকটি সুযোগ। কিন্তু অক্ষর প্যাটেল সেটা করতে দেননি। এলবিডাবøুর ফাঁদে ফেলেন এই ব্যাটারকে। ৪২২ বলে ২১ চারে ১৮০ রান করেন খাজা।
এরপর সেঞ্চুরি তুলে নেন গ্রীনও। টেস্ট ক্যারিয়ারে এটাই তার প্রথম সেঞ্চুরি। এই মিডল অর্ডার ব্যাটার ছিলেন কিছুটা আক্রমণাত্বক। ১৭০ বলে ১৮ চারে ১১৪ রান করেন গ্রীন। তাকে ফেরান অশ্বিন। বাকিদের মধ্যে আর কেউ হাফ সেঞ্চুরিও করতে পারেননি।
অশ্বিন ছয় উইকেট নিতে বোলিং করেছেন ৪৭.২ ওভার। এছাড়া দুটি উইকেট নেন মোহাম্মদ শামি। একটি করে উইকেট পান জাদেজা ও প্যাটেল।
দ্বিতীয়দিনের শেষ বিকালে ব্যাটিংয়ে নেমে কোনো উইকেট হারায়নি ভারত। রোহিত শর্মা (১৭*) ও শুবমান গিল (১৮*) অবিচ্ছিন্ন থেকে দিন শেষ করেছে।
প্রথম টেস্টে হারা অস্ট্রেলিয়া পরের দুই ম্যাচে ভালোভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে। বিশেষ করে স্টিভ স্মিথকে নেতৃত্ব দেওয়ার পরই এই পরিবর্তন। এই ম্যাচে জিততে পারলে সিরিজটি ২-২ করে দেশে ফিরতে পারবে অস্ট্রেলিয়া।
তবে সিরিজ জয়ের চেয়েও ম্যাচটি গুরুত্বপূর্ণ ভারতের কাছে। ম্যাচটি জেতা তাদের জন্যই খুবই দরকার। আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ওঠার জন্যই ম্যাচটি আলাদা গুরুত্ব পাচ্ছে ভারতের কাছে।
স্পোর্টসমেইল২৪/জেএম