ভারতের স্পিনারদের সামলানোর জন্য সিডনিতে বিশেষ উইকেট বানিয়ে অনুশীলন করেছিল অস্ট্রেলিয়া। দলের সঙ্গে নিয়ে এসেছে চার স্পিনারও। ভারতের আসার পর থেকেও স্পিনারদের সামলানোর সব ধরনের চেষ্টা করে চলেছেন কিন্তু লাভ হচ্ছে না।
প্রথম টেস্টে বাজেভাবে হারের পর দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসটাও ভালো হলো না তাদের। শুক্রবার প্রথমে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ইনিংসে মাত্র ২৬৩ রানে অলআউট হয়েছে অস্ট্রেলিয়া।
এরপর কোনো উইকেট না হারিয়ে ২১ রানে দিন শেষ করেছে স্বাগতিক ভারত। দশ উইকেট হাতে রেখে প্রথম ইনিংসে এখনও ভারত ২৪২ রান পিছিয়ে।
নাগপুরের পর দিল্লিতেও সফরকারীদের অস্বস্তিতে রাখলেন ডানহাতি অফ-স্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিন। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ়ে নজির গড়েই চলেছেন ভারতীয় স্পিনাররা।
অশ্বিনকে যেন খেলতেই পারছে না অসি ব্যাটাররা। ভালোভাবে খেলতেই পারছেন না অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটাররা। প্রথম টেস্টের মতো দ্বিতীয় টেস্টেও প্যাট কামিন্সদের সমস্যায় ফেলেছেন তিনি।
এদিন সাবেক অধিনায়ক স্টিভ স্মিথকে শূন্য রানে আউট করেছেন অশ্বিন। এই নিয়ে টেস্ট ক্রিকেটে অশ্বিন দ্বিতীয়বার খাতা খোলার আগেই স্মিথকে সাজঘরে ফেরত পাঠালেন।
২০২০ সালে মেলবোর্ন টেস্টেও স্মিথকে শূন্য রানে আউট করেছিলেন অশ্বিন। এই প্রথম এক বোলারের কাছে দু'বার শুন্যতে আউট হলেন স্মিথ।
এছাড়া দ্বিতীয় ভারতীয় বোলার হিসাবে বর্ডার-গাভাস্কার সিরিজ়ে ১০০ উইকেট পূর্ণ করলেন অশ্বিন। এতদিন এই কৃতিত্ব ছিল শুধু ভারতের সাবেক অধিনায়ক অনিল কুম্বলের।
অ্যালেক্স ক্যারিকে আউট করে শততম উইকেট পূরন করেন অশ্বিন। দিল্লি টেস্টের প্রথম ইনিংসে অশ্বিন ৫৭ রান দিয়ে তিন উইকেট নিয়েছেন।
এছাড়া তিন উইকেট নিয়েছেন স্পিন বোলিং আক্রমণে তার জুটি রবিন্দ্র জাদেজা। স্পিনারদের মধ্যে এদিন দাপট দেখিয়েছেন ডানহাতি পেসার মোহাম্মদ শামি।
নাগপুরে প্রথম টেস্টে অশ্বিন আট উইকেট নিয়েছিলেন অশ্বিন। এই সিরিজ়ে ১১টি উইকেট হয়ে গেল তার। বর্ডার-গাভাস্কার সিরিজ়ে সব থেকে বেশি উইকেট নেওয়ার কৃতিত্ব রয়েছে কুম্বলের। তিনি ১১১টি উইকেট নিয়েছিলেন।
সফরকারীদের হয়ে উসমান খাজা ও পেটার হ্যান্ডসকম হাফ সেঞ্চুরি করেছেন। দু'জনের সামনেই সুযোগ ছিল সেঞ্চুরির। কিন্তু খাজা ৮১ রানে এবং পেটার ৭৪* রান করতে পারে।
তৃতীয় সর্বোচ্চ রান আসে অধিনায়ক পেট কামিন্সের ব্যাট থেকে।জবাবে রোহিত শর্মা ১৩* এবং লোকেশ রাহুল ৪* রান নিয়ে দিন শেষ করেছেন।
স্পোর্টসমেইল২৪/জেএম