সফরকারী দক্ষিণ আফ্রিকাকে হোয়াইটওয়াশ করলো স্বাগতিক শ্রীলঙ্কা। রঙ্গনা হেরাথের ৬ উইকেট শিকারে ম্যাচের চতুর্থ দিনেই দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে কলম্বোতে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ ম্যাচ ১৯৯ রানের বড় ব্যবধানে জয় পেয়েছে লঙ্কনরা। ফলে দুই ম্যাচের সিরিজে শ্রীলঙ্কা ২-০ ব্যবধানে হারালো প্রোটিয়াদের।
ম্যাচের তৃতীয় দিন রোববার শেষেই ম্যাচ জয়ের মঞ্চ তৈরি করেছিল শ্রীলঙ্কা। তৃতীয় দিন দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৪৯০ রানের বড় টার্গেট দেয় লঙ্কানরা। জয়ের জন্য বড় লক্ষ্যে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট হাতে নেমে দিন শেষে ৫ উইকেটে ১৩৯ রান করে দক্ষিণ আফ্রিকা। ফলে ম্যাচ জয়ের জন্য বইক ৫ উইকেটে আরও ৩৪১ রান করতে হতো প্রোটিয়ারদের।
থিউনিস ডি ব্রুইন ৪৫ ও তেম্বা বাভুমা ১৪ রান নিয়ে চতুর্থ দিনের খেলা শুরু করেন। ব্যাট হাতে দারুণ লড়াই করেন ব্রুইন ও বাভুমা। ফলে দক্ষিণ আফ্রিকার দলীয় স্কোর ২শ’ পেরিয়ে যায়। এরমধ্যে ব্রুইন ও বাভুমা দু’জনই হাফ-সেঞ্চুরির স্বাদ নেন। টেস্ট ক্যারিয়ারের ১১তম হাফ-সেঞ্চুরির স্বাদ নেয়া বাভুমা ৬৩ রানে লঙ্কান স্পিনার রঙ্গনা হেরাথের শিকার হন।
বাভুমা ফিরে যাবার পর ক্রিজে গিয়ে সুবিধা করতে পারেননি উইকেটরক্ষক কুইন্ট ডি কক। ৮ রান করে হেরাথের চতুর্থ শিকার হন তিনি। দলীয় ২৪৬ রানে সপ্তম ব্যাটসম্যান হিসেবে ডি কক ফিরে যাবার পর এক প্রান্ত আগলে খেলতে থাকেন ব্রুইন। শেষ পর্যন্ত নিজের ছয় টেস্টের ক্যারিয়ারে প্রথম সেঞ্চুরির স্বাদ নেন তিনি।
তিন অংকে পা দিয়ে নিজের স্মরণীয় ইনিংসটি বড় করতে পারেননি ব্রুইন। ২৩২ বলে ১০১ রান করে হেরাথের পঞ্চম শিকার হন ব্রুইন। তার ইনিংসে ১২টি চার ছিল। ব্রুইন ফিরে যাবার ১০ রান পর ২৯০ রানে গুটিয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা।
এ ইনিংসে ৯৮ রানে ৬ উইকেট নিয়েছেন শ্রীলঙ্কার হেরাথ। এ নিয়ে ৩৪তমবারের মত পাঁচ বা ততোধিক উইকেট নিয়েছেন তিনি। ম্যাচ ও সিরিজ সেরা হন শ্রীলঙ্কার দিমুথ করুনাত্নে।
২০০৬ সালের পর প্রথমবার প্রোটিয়াদের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ জয়ের রেকর্ড গড়লো লঙ্কানরা। আগামী ২৯ জুলাই থেকে পাঁচ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ শুরু করবে শ্রীলঙ্কা-দক্ষিণ আফ্রিকা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর :
শ্রীলঙ্কা : ৩৩৮ ও ২৭৫/৫ডি, ৮১ ওভার (করুনাত্নে ৮৫, ম্যাথুজ ৭১, মহারাজ ৩/১৫৪)।
দক্ষিণ আফ্রিকা : ১২৪ ও ২৯০, ৮৬.৫ ওভার (ব্রুইন ১০১, বাভুমা ৬৩, হেরাথ ৬/৯৮)।
ফল : শ্রীলঙ্কা ১৯৯ রানে জয়ী।
সিরিজ : দুই ম্যাচের সিরিজ ২-০ ব্যবধানে জিতলো শ্রীলঙ্কা।
ম্যাচ সেরা : দিমুথ করুনারত্নে (শ্রীলঙ্কা)।
সিরিজ সেরা : দিমুথ করুনাত্নে (শ্রীলঙ্কা)।