টম লাথাম ১০০ বলে ৭১ রান করে আউট হন। দ্রুত সেঞ্চুরি তুলে নেন আরেক ওপেনার ডেভন কনওয়ে। একটা সময় এক উইকেট হারিয়ে নিউজিল্যান্ডের রান ছিল ২৩৪। সেখানে থেকে আঘা সালমান ও নাসিম শাহ'র বোলিং তোপে মাত্র ৪৫ রানের মধ্যে পাঁচ উইকেট হারায় সফরকারীরা।
দুর্দান্তভাবে ম্যাচে ফেরে পাকিস্তানও। করাচি টেস্টের প্রথমদিন শেষে নিউজিল্যান্ডের সংগ্রহ ছয় উইকেটে ৩০৯ রান। টম ব্লান্ডেল ৩০ এবং ইশ সোদি ১১ রানে অপরাজিত রয়েছেন। তিন উইকেট নিয়ে প্রথম দিনে পাকিস্তানের সফলতম বোলার অফ স্পিনিং অলরাউন্ডার আঘা সালমান।
টস জিতে ব্যাট করতে নামা সফরকারীরাদের শুরু হয় দুর্দান্ত। উইকেটে বেশ সবুজের আভা ছিল। কিন্তু বোলারদের জন্য তেমন কোনো সুবিধাই দেখা যায়নি।
বরং সেখানেই আক্রমণাত্বক খেলেছেন লাথাম ও কনওয়ে। প্রথম টেস্টে আট রানের জন্য সেঞ্চুরি না পাওয়া কনওয়ে এবার খেললেন ১২২ রানের দুর্দান্ত ইনিংস।
১৯১ বলের ইনিংস গড়া ১৬ চার ও এক ছক্কায়। গত বছরের প্রথমদিন মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্টেও ১২২ রানের ইনিংস খেলেছিলেন তিনি। টানা দুই বছরের শুরুতেই সেঞ্চুরি করলেন ৩১ বছর বয়সী এই ব্যাটার।
মাত্র ১২ টেস্টে এটি তার চতুর্থ সেঞ্চুরিও। ক্যারিয়ারের অভিষেক টেস্টেই লর্ডসে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে করেছিলেন ডাবল সেঞ্চুরি।
কিউই দলের আরেক ওপেনার লাথাম ১০০ বলে করেন ৭১ রান। দুই ওপেনারের পর পঞ্চাশ পর্যন্ত যেতে পারেননি আর কেউ। লাথাম আগের টেস্টে সেঞ্চুরি করেছিলেন।
সম্ভাবনা জাগিয়েছিলেন দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসেও। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পারেননি। নাসিম শাহ'র বলে এলবিডাব্লু হয়ে ফেরেন।
প্রথম জুটি থেকে আসে ১৩৪ রান। দ্বিতীয় উইকেটে কেন উইলিয়ামসকে নিয়ে আরও একশো রানের জুটি গড়েন। সেখানে কিউই অধিনায়কের রান ছিল মাত্র ৩৪! কনওয়ে আউট হওয়ার পর উইলিয়ামসও বেশিক্ষন টেকেননি।
আঘা খান দ্রুত আরও দুটি উইকেট তুলে নেন। এরপর আবরার আহমেদ মিচেল ব্রাসওয়েলকে ফেরালে নিউজিল্যান্ডের স্কোর হয়ে যায় ২৭৯/৬। কিন্তু দিনের বাকিটা সময় আর কোনো উইকেট হারাতে দেননি ব্লানডেল ও সোদি।
আঘা ৫৫ রানে তিনটি এবং নিসাম ৪৪ রানে দুটি উইকেট নেন। ২৪ ওভার বোলিং করে ১০১ রান দিয়ে একটি উইকেট নেন আবরার।
স্পোর্টসমেইল২৪/জেএম