জয়ের আশা ছিল না বললেই চলে। বরং কোনো ব্যক্তিগত অর্জন হয় কিনা এবং হারের ব্যবধান কতটা কমানো যায় সেটাই যেন লক্ষ্য ছিল। চট্টগ্রাম টেস্টের পঞ্চম দিনে শুরুতে সাকিব আল হাসান ঝড় তুললেন। সম্ভাবনাও জাগালেন সেঞ্চুরির। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কুলদীপ যাদবে থামলেন সাকিব। সেঞ্চুরি থেকে ১৬ রান দূরে থাকতে।
বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংস শেষ হল ৩২৪ রানে। শেষদিনের খেলা শেষ হল মাত্র ৪৮ মিনিট্ই। দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্টে হার। বাংলাদেশের হার ১৮৮ রানে।
প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ মাত্র ১৫০ রানে অলআউট হয়। ভারত প্রথম ইনিংসে ৪০৪ রানে অলআউট হয়। দ্বিতীয় ইনিংসে জোড়া সেঞ্চুরিতে ২৫৮/২ ইনিংস ঘোষণা করে। প্রথম ইনিংসে পাঁচটি ও দ্বিতীয় ইনিংসে তিনটি মোট ম্যাচে আট উইকেট নিয়ে সেরা কুলদীপ যাদব।
ছয়টি করে চার ও ছক্কায় সাকিব করেন ১০৮ বলে ৮৪ রান। গত পাঁচ বছরে তার সর্বোচ্চ স্কোর এটাই। সর্বশেষ ২০১৭ সালের আগস্টে মিরপুরে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে খেলেন ৮৪ রানের ইনিংস। সেঞ্চুরিও করেছিলেন সেই ২০১৭ সালে। শ্রীলংকার মাটিতে।
এদিন আরেকটি ছক্কা মারতে পারলে তামিম ইকবালের সাথে ছক্কার একটি রেকর্ড স্পর্শ করতেন। টেস্টে সবচেয়ে বেশি ছক্কা মারার রেকর্ড। চতুর্থদিন শেষ হয়েছিল সাকিব ৪০ রানে থাকতে। মেহেদী হাসান মিরাজ অপরাজিত ছিলেন ৯ রানে।
দিনের শুরুতে প্রথম ওভারেই মোহাম্মদ সিরাজকে দারুন ড্রাইভে চার মারেন মিরাজ। এরপরের ওভারে ছক্কা হাকান সাকিব। তবে সিরাজের পরের ওভারে পয়েন্টে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন মিরাজ। করেন ওই ১৩ রান। মিরাজের আউট হলেই সাকিব আরও আগ্রাসী হয়ে যান।]
কিন্তু সাড়ে পাঁচ বছরের সেঞ্চুর খরা কাটানো হল না। দ্রুত কিছু রান তুলেই ফেরেন। সাকিব আউট হওয়ার পর আর মাত্র চার রান করতে পারে শেষের দুই ব্যাটার।
অক্ষর প্যাটেল চারটি ও কুলদীপ যাদব তিনটি উইকেট নেন। এছাড়া উমেশ যাদব, রবিচন্দ্রন অশ্বিন ও মোহাম্মদ সিরাজ একটি করে উইকেট নেন।
স্পোর্টসমেইল২৪/জেএম