রাওয়ালপিন্ডির ব্যাটিং স্বর্গ উইকেটে আউট হওয়াই যেন হয়ে পড়েছিল বড় চ্যালেঞ্জ। দু’দলের প্রথম ইনিংসে হয়েছে মোট সাত সেঞ্চুরি। এমন উইকেটে প্রতিপক্ষকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেওয়ার জন্য বড় জুয়া খেলতেই হতো। সেই জুয়াই খেলেছিল ইংল্যান্ড। পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম টেস্টে ইংল্যান্ডের নেওয়া সাহসী সিদ্ধান্তর পর ম্যাচও জিতে নিয়েছে বেন স্টোকসের দল।
পাকিস্তানের মাটিতে যে ম্যাচে ড্র ছাড়া কোনো পথ দেখা যাচ্ছিল না, শেষ দিনের রোমাঞ্চকর ম্যাচে সেখানে পঞ্চম দিনে জয়ের সম্ভাবনা দেখা যায়। সবশেষ পাকিস্তানকে ৭৪ রানের ব্যবধানে হারিয়ে সিরিজে এগিয়ে গেল ইংল্যান্ড। সব মিলিয়ে এ টেস্টে রান হয়েছে মোট ১৭৬৮। টেস্ট ক্রিকেটের ১৪৫ বছরের ইতিহাসে ফলাফল হয়েছে -এমন ম্যাচে এটাই সবচেয়ে বেশি রানের রেকর্ড।
পাকিস্তানকে ৩৪৩ রানের লক্ষ্যে ছুঁড়ে দিয়েছিল ইংল্যান্ড। যেখানে শেষ দিনে পাকিস্তান করতে পারে ২৬৮ রান। দ্বিতীয় ইনিংসে পাকিস্তানের চারটি করে উইকেট নিয়েছেন ওলি রবিনসন এববং ৪০ বছর বয়সী পেসার জেমস অ্যান্ডারসন। ম্যাচে পাঁচ উইকেট পাওয়া ও ৩৭ রান করা রবিনসনই হয়েছেন ম্যাচ সেরা খেলোয়াড়।
নিষ্প্রাণ উইকেটে ইংল্যান্ড প্রথম দিনেই আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে অনেকগুলো রেকর্ড গড়ে ফেলে। আলোচনা শুরু তখন থেকেই। দুই ইনিংসেই ইংলিশরা খেলেছে টি-টোয়েন্টি মেজাজে। প্রথম ইনিংসে তারা ১০১ ওভারেই তুলে ফেলে ৬৫৭ রান। দ্বিতীয় ইনিংসে ৩৫.৫ ওভারে সাত উইকেটে ২৬৪ রানে ইনিংস ঘোষণা করে।
প্রথম ইনিংসে ৫৭৯ রান করা পাকিস্তানের লক্ষ্যে দাঁড়ায় ৩৪৩। হাতে ছিল চার সেশন। এমন উইকেটে ইংলিশরা নিয়েছিল বড় ঝুঁকি। চতুর্থ দিন শেষে দুই উইকেটে ৮০ রান তুলে পাকিস্তান। ফলে সোমবার (৫ ডিসেম্বর) শেষ দিনে জয়ের জন্য ৮ উইকেটে তাদের প্রয়োজন হয় ২৬৩।
তিন উইকেটে ১৬৯ রান নিয়ে লাঞ্চ বিরতিতে যায় পাকিস্তান। এত ভালো অবস্থায় থাকার পরও অ্যান্ডারসন ও রবিনসনের সুইং সামলাতে পারেননি পাকিস্তানের ব্যাটাররা। সৌদ শাকিলের হাফ সেঞ্চুরিতে (৭৬) শেষ পর্যন্ত পাকিস্তানের সংগ্রহ গিয়ে দাঁড়ায় ২৬৪ রানে। ফলে ৭৪ রানের জয় পেয়ে যায় ইংলিশরা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
ইংল্যান্ড প্রথম ইনিংস: ৬৫৭
পাকিস্তন প্রথম ইনিংস: ৫৭৯
ইংল্যান্ড দ্বিতীয় ইনিংস: ২৬৪/৭ (ডি.)
পাকিস্তান দ্বিতীয় ইনিংস: (লক্ষ্য ৩৪৩, আগের দিন ৮০/২) ৯৬.৩ ওভারে ২৬৮।
ফল: ইংল্যান্ড ৭৪ রানে জয়ী
ম্যাচ সেরা: অলিভার রবিসন (ইংল্যান্ড)।
স্পোর্টসমেইল২৪/জেএম/আরএস