বোলারদের সৌজন্যে বাংলাদেশের সকালটা ছিল সুন্দর। ৪ উইকেটে ২৯৫ রান নিয়ে দিন শুরু করা ওয়েস্ট ইন্ডিজ গুটিয়ে যায় ৩৫৪ রানেই। ৫ উইকেট নেন মেহেদী হাসান মিরাজ এবং সুইং বোলিংয়ের দারুণ প্রদর্শনী মেলে ধরেন আবু জায়েদ। তবে ব্যাট হাতে আবারও ব্যর্থ বাংলাদেশ। নিজেদের বিশ্রি ব্যাটিংয়ে দ্বিতীয় ম্যাচের প্রথম ইনিংসে মাত্র ১৪৯ রানে অলআউট হয়েছে বাংলাদেশ।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের করা ৩৫৪ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে ফলোঅন এড়ানো তো দূরের কথা ওল্টো আবারও ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন সাকিব-তামিমরা। এদিকে বাংলাদেশ ফলোঅনে পড়লেও ক্যারিবীয় অধিনায়ক জেসন হোল্ডার সাকিবদের আবার ব্যাটিংয়ে নামাননি। নিজেরাই ব্যাট করছেন। দিন শেষ করেছে তারা ১ উইকেটে ১৯ রান নিয়ে। ফলে ৯ উইকেট হাতে রেখে এগিয়ে রয়েছেন ২২৪ রানে।
বাংলাদেশ উইকেট হারিয়েছে জোড়ায় জোড়ায়। ২০ রানে প্রথমটি, দুই বল পর দ্বিতীয়টি। ৭৯ রানে তৃতীয় উইকেট, দুই বল পরই আরেকটি। ১১৭ রানে পঞ্চম উইকেট, পরের বলেই আরও একটি। ভূতুড়ে ব্যাটিংয়ের সঙ্গে যোগ হয়েছে রিভিউয়ের হতাশা। রিভিউ নিলে বেঁচে যেতেন লিটন দাস ও নুরুল হাসান সোহান। নেননি কেউই।
সর্বোচ্চ ৪৭ রান করা তামিম ইকবালই যেন ছিলেন বাংলাদেশের ব্যাটিং দুর্দশার প্রতীক। ইনিংসের প্রথম বলেই শ্যানন গ্যাব্রিয়েলের ফুল লেংথ বল সামলাতে গিয়ে হুমড়ি খেয়ে পড়েছিলেন। ভোগান্তির সেই শুরু। ইনিংস জুড়ে একবারের জন্যও মনে হয়নি থিতু। জীবন পেয়েছেন, এগিয়েছেন ধুঁকতে ধুঁকতে। আম্পায়ার আউট দিলেও রিভিউ নিয়ে টিকে গেছেন। তারপরও ফিফটি করতে পারেননি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর :
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১ম ইনিংস : ৩৫৪ (আগের দিন ২৯৫/৪) (ব্র্যাথওয়েট ১১০, পাওয়েল ২৯, হোপ ২৯, হেটমায়ার ৮৬, চেইস ২০, হোল্ডার ৩৩*; আবু জায়েদ ১৮-৭-৩৮-৩, সাকিব ২২-৩-৬০-০, মিরাজ ২৯-৯-৯৩-৫, তাইজুল ২৫-৪-৮২-২, কামরুল ১০-১-৩৪-০, মাহমুদউল্লাহ ৮-১-২০-০)।
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস : ৪৬.১ ওভারে ১৪৯ (তামিম ৪৭, লিটন ১২, সাকিব ৩২, মুশফিক ২৪, তাইজুল ১৮, কামরুল ০*; গ্যাব্রিয়েল ২/১৯, পল ২/২৫, কামিন্স ১/৩৪, হোল্ডার ৫/৪৪)।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২য় ইনিংস : ৯ ওভারে ১৯/১ (ব্র্যাথওয়েট ৮, স্মিথ ৮*, পল ০*; আবু জায়েদ ০/৮, মিরাজ ০/৮, রাব্বি ০/৩, সাকিব ১/০)।