দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়াল বাংলাদেশ। জ্যামাইকা টেস্টের দ্বিতীয় দিন সকালে প্রথম ইনিংসে ৩৫৪ রানে অলআউট হয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। আর এ ঘুড়ে দাঁড়ানোর নেপথ্যে কাজ করেছেন বাংলাদেশের দুই বোলার। তারা হলেন মেহেদী হাসান মিরাজ ও আবু জায়েদ।
টাইগার মেহেদী হাসান মিরাজের ঘূর্ণি আর আবু জায়েদ রাহীর দুর্দান্ত গতিতে নাকাল হয়েছে ক্যারিবীয়রা। টেস্ট ক্যারিয়ারে চতুর্থবারের মতো ৫ উইকেট নিয়েছেন মিরাজ। আর অভিষেক টেস্টে ৩ উইকেট নেয়ার পর এই টেস্টেও আবু জায়েদ নিয়েছেন ৩ উইকেট। আগের দিন ১টি উইকেট নিয়েছিলেন তাইজুল ইসলাম। আজও নিলেন একটি।
৪ উইকেটে ২৯৫ রান নিয়ে দিন শুরু করেছিল ক্যারিবিয়ানরা। দৃষ্টি ছিল তাদের বড় স্কোরে। কিন্তু আবু জায়েদ ও মিরাজের সৌজন্যে বাংলাদেশ এদিন ১৬ ওভারের মধ্যেই নিতে পেরেছে শেষ ৬ উইকেট।
দিনের প্রথম ঘণ্টায় নায়ক ছিলেন আবু জায়েদ। আগের দিন শেষ সেশনে ওয়ানডের গতিতে রান তোলার শিমরন হেটমায়ারকে এদিন ডানা মেলতে দেয়নি বাংলাদেশ। ৮৪ রান নিয়ে শুরু করা ব্যাটসম্যানকে ৮৬ রানেই থামান আবু জায়েদ।
খানিক পর আগের দিনের আরেক অপরাজিত ব্যাটসম্যানকেও ফিরিয়ে দেন আবু জায়েদ। ভেতরে ঢোকা ডেলিভারিতে এলবিডব্লিউ রোস্টন চেইস। জ্বলে ওঠেন স্পিনাররাও। আগের সিরিজেই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যান অব দ্য সিরিজ হওয়া শেন ডাওরিচকে ফেরান তাইজুল ইসলাম।
এর আসেন মিরাজ, পরপর দুই ডেলিভারিতে বিদায় করেন কিমো পল ও মিগেল কামিন্সকে। আগের দিনের তিনটির সঙ্গে মিলিয়ে পূর্ণ করেন ৫ উইকেট।
২২ রানের মধ্যে তখন নেই ক্যারিবিয়ানদের ৫ উইকেট। ৪ উইকেটে ২৯৭ থেকে রান হয়ে যায় ৯ উইকেটে ৩১৯। শেষ জুটিতে শ্যানন গ্যাব্রিয়েলকে নিয়ে দলকে সাড়ে তিনশতে নিয়ে যান জেসন হোল্ডার।
সংক্ষিপ্ত স্কোর :
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১ম ইনিংস: ১১২ ওভারে ৩৫৪ (আগের দিন ২৯৫/৪) (ব্র্যাথওয়েট ১১০, পাওয়েল ২৯, হোপ ২৯, হেটমায়ার ৮৬, চেইস ২০, হোল্ডার ৩৩*; আবু জায়েদ ১৮-৭-৩৮-৩, সাকিব ২২-৩-৬০-০, মিরাজ ২৯-৯-৯৩-৫, তাইজুল ২৫-৪-৮২-২, কামরুল ১০-১-৩৪-০, মাহমুদউল্লাহ ৮-১-২০-০)।