অ্যান্টিগা টেস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে ইনিংস ও ২১৯ রানের বড় ব্যবধানে হারেছে সফরকারী বাংলাদেশ। এ জয়ে দুই ম্যাচ সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
সিরিজের প্রথম টেস্টটি তৃতীয় দিনের প্রথম সেশনেই নিষ্পত্তি করে ক্যারিবীয়রা। নিজেদের ক্রিকেট ইতিহাসে এ নিয়ে ৩৮তম বারের মত ইনিংস ব্যবধানে হারলো বাংলাদেশ। ইনিংস ও রানের ব্যবধানে এটি বাংলাদেশের অষ্টম বড় হার। তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে ইনিংস ও রানের ব্যবধানে এটি দ্বিতীয় বড় ব্যবধানে হার।
প্রথম ইনিংসে ৪৩ রানে অলআউট হয়ে নিজেদের টেস্ট ক্রিকেট ইতিহাসে সর্বনিম্ন রানের রেকর্ড গড়েছিল বাংলাদেশ। প্রথম ইনিংসের মত দ্বিতীয় ইনিংসেও ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে টাইগাররা। প্রথম ইনিংসে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৪০৬ রানে গুটিয়ে দিয়ে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে দ্বিতীয় দিন শেষে ৬ উইকেটে ৬২ রান তুলতে পারে বাংলাদেশ। ইনিংস হার এড়াতে বাকি ৪ উইকেটে ৩০১ রান দরকার ছিল বাংলাদেশের।
প্রথম ইনিংসে ৩৬৩ রানে পিছিয়ে থাকা বাংলাদেশের পক্ষে তৃতীয় দিন সকালে খেলতে নামেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ও উইটেরক্ষক নুরুল হাসান। মাহমুুদুল্লাহ ১৫ ও নুরুল ৭ রানে অপরাজিত ছিলেন। দিনের প্রথম বলে মাহমুদুল্লাহ ফিরে যান। এরপর উইকেটে নুরুলের সঙ্গী হন লোয়ার-অর্ডার ব্যাটসম্যান কামরুল ইসলাম রাব্বি। নুরুলকে ভালোই সঙ্গ দিচ্ছিলেন তিনি। ফলে বাংলাদেশের হারের ব্যবধান কমতে থাকে। কিন্তু ৭ রানের বেশি করতে পারেননি রাব্বি।
রাব্বির বিদায়ের পর মারমুখী মেজাজে ব্যাট করেন নুরুল। এতে বাংলাদেশের স্কোর বাড়তে থাকে। এক সময় নিজের দ্বিতীয় টেস্টের চতুর্থ ইনিংসে প্রথম হাফ-সেঞ্চুরির স্বাদ নেন নুরুল। ৩৬ বলেই হাফ-সেঞ্চুরি তুলে নেয়ার পর নিজের ইনিংসটি বড় করছিলেন নুরুল। কিন্তু ব্যক্তিগত ৬৪ রানে থেমে যেতে হয় তাকে। ৬টি চার ও ২টি ছক্কায় ৬৪ রান করেন তিনি।
দলীয় ১৪৩ রানে নবম ব্যাটসম্যান হিসেবে নুরুলের বিদায়ের ৯ বল পরই দলীয় ১৪৪ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। ৩৩ বলে ১৬ রান করে বাংলাদেশের শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হন রুবেল হোসেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে দ্বিতীয় ইনিংসে ৭৭ রানে ৫ উইকেট নিয়েছেন শ্যানন গ্যাব্রিয়েল। ৩৬ ম্যাচের ক্যারিয়ারে পঞ্চমবারের মত পাঁচ বা ততোধিক উইকেট নিলেন গ্যাব্রিয়েল। ম্যাচ সেরা হয়েছেন প্রথম ইনিংসে ৮ রানে ৫ উইকেট নেয়া ওয়েস্ট ইন্ডিজের কেমার রোচ।
আগামী ১২ জুলাই থেকে কিংস্টনে শুরু হবে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট।
সংক্ষিপ্ত স্কোর :
বাংলাদেশ : ৪৩ ও ১৪৪, ৪০.২ ওভার (নুরুল ৬৪, রুবেল ১৬, মাহমুদুল্লাহ ১৫*, গ্যাব্রিয়েল ৫/৭৭)।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ : ৪০৬/১০, ১৩৭.৩ (ব্র্যাথওয়েট ১২১, হোপ ৬৭, স্মিথ ৫৮, আবু জায়েদ ৩/৮৪, মিরাজ ৩/১০১)।
ফল : ওয়েস্ট ইন্ডিজ ইনিংস ও ২১৯ রানে জয়ী।
ম্যাচ সেরা : কেমার রোচ (ওয়েস্ট ইন্ডিজ)।
সিরিজ : দুই ম্যাচের সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল ওয়েস্ট ইন্ডিজ।