অ্যান্টিগায় সিরিজের প্রথম টেস্টে চরম ব্যাটিং বিপর্য হয়েছে বাংলাদেশে। টেস্ট ইতিহাসের সর্বনিম্ন রানে অলআউট হয়েছে বাংলাদেশের ব্যাটম্যানরা। ১৮ ওভার ৪ বলে সব কয়টি উইকেট হারিয়ে মাত্র ৪৩ রান করেছে সাকিব-তামিমরা।
টসে হেরে যেভাবে বাংলাদেশ ব্যাটিং শুরু করেছিল তাতে মনে হচ্ছিল টেস্ট ইতিহাসে নিউজিল্যান্ডের করা ২৬ রানে অলআউট হওয়ার রেকর্ডটিও ভেঙে দেবেন তামিম-সাকিবরা। তবে সে লজ্জা এড়াতে পারলেও দেশের সর্বনিম্ন রানের রেকর্ড গড়লো বাংলাদেশ।
২০০৭ সালের ৩ জুলাই কলম্বোতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে মাত্র ৬২ রানে অলআউট হয়েছিল বাংলাদেশ। এবার অ্যান্টিগায় সিরিজে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সে রেকর্ডও ভাঙলো বাংলাদেশ। মাত্র ১৮.৪ বলে সবাই সাজঘরে ফিরে ৪৩ রান করলো বাংলাদেশ।
বুধবার বাংলাদেশ সময় রাত ৮টায় অ্যান্টিগার ভিভ রিচার্ডস স্টেডিয়ামে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে আইপে বাংলাদেশ-উইন্ডিজ ক্রিকেট সিরিজে প্রথম টেস্টে টসে হেরে ব্যাটিং শুরু করে বাংলাদেশ। শুরুতেই তামিমকে হারায় বাংলাদেশ। মাত্র ৪ রানেই কেমার রোচের শিকার হয়ে ফেরেন চার হাজারি ক্লাবের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা বাংলাদেশি ওপেনার।
তামিমের পর একে একে সাজঘরের পথ ধরেছেন মুমিনুল হক (১), মুশফিকুর রহিম (০), সাকিব আল হাসান (০) ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ (০)। সব কটি উইকেটই ক্যারিবীয় পেসার রোচের। মাত্র ৬ রানে তিনি তুলে নিয়েছেন ৫ উইকেট।
তবে সতীর্থদের এ আসা যাওয়ার মধ্যে একটা প্রান্ত ধরে রাখেন লিটন দাস। তামিমের সঙ্গে ওপেনিংয়ে নামা এ ব্যাটসম্যান শেষ পর্যন্ত ৫৩ বলে ২৫ রান করেছেন। যা দলের সর্বোচ্চ এবং একমাত্র দুই অংকের ঘরে রান করেছেন।
এরপর নুরুল হাসান ৪ চারে, মেহেদী হাসান মিরাজ করেন এক রান, কামরুল হাসান রাব্বি শূন্য, আবু জায়েদ ২ রান। তবে ১০ বল খেলে দলের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৬ রান করে রুবেল হোসেন ছিলেন অপরাজিত। সব মিলিয়ে ১৮.৪ ওভারে ৪৩ রানেই শেষ হয়ে যায় বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের পেসার কেমার রোচ ৮ রানে ৫ উইকেট নেন। এছাড়া মিগুইয়েল কামিন্স ১১ রানে ৩টি ও অধিনায়ক জেসন হোল্ডার ১০ রানে ২ উইকেট নেন।