৪ ওয়াইড+৪ নো+৬ ৪ ৪ ৪ ৬ ১। নাহ, এটা কোনো টি-টোয়েন্টি বাহ এমনকি ওয়ানডে ম্যাচের ওভারও নয়। টেস্ট ক্রিকেটে পাঁচশোর বেশি উইকেট নেওয়া ইংলিশ পেসার স্টুয়ার্ট ব্রডের বিপক্ষে ভারতের ১০ নম্বর ব্যাটারের নেওয়া এক ওভারের রান।
যদিও অতিরিক্তি খাত থেকে এসেছে ছয়, কিন্তু বাকি ২৯ ওই ব্যাটারের ব্যাট থেকে! ব্যাটারের নাম জাসপ্রিত বুমরাহ। যিনি কিনা ৩৫ বছর প্রথম পেস বোলার হিসেবেই এ ম্যাচেই ভারতকে নেত্বতৃ দিচ্ছেন।
অধিনায়কত্বের শুরুটা দেড় যুগের (১৯ বছর) বেশি সময়ের রেকর্ড ভেঙেই শুরু করলেন এই পেস বোলার। যে রেকর্ড এতদিন ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের কিংবদন্তি ব্যাটার ব্রায়ান লারার।
২০০৩ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে জোহানেসবার্গে রবিন পিটারসনের এক ওভারে ২৮ রান নিয়েছিলেন লারা। লম্বা সময় শেষে সেই রেকর্ড এখন নতুন করে নিজের নামে লেখালেন জাসপ্রিত বুমরাহ। বুমরাহ যেদিন নিজের নামে গর্বের রেকর্ড লিখলেন, সেদিন ইংলিশ পেসার ব্রডের সঙ্গে জড়ালো লজ্জ্বার রেকর্ড।
জাদেজার সেঞ্চুরি ও বুমরাহর ঝড়ে ভারতের সংগ্রহ ৪১৬
দ্বিতীয় দিনের শুরুতে দারুণ এক মাইলফলক ছুঁয়েছেন ইংলিশ পেসার স্টুয়ার্ট ব্রড। ভারতীয় ব্যাটার মোহাম্মদ শামীকে আউট করার পর টেস্ট ক্রিকেটে তার উইকেট সংখ্যা এখন ৫৫০। তখন কি স্বপ্নেও ভেবেছিলেন দিনের শেষটা কি ভয়াবহ ওভার দিয়ে শেষ হবে। বেচার ব্রড! ব্রডের জন্য হয়তো এই ‘বেচারা’ শব্দটাই যুথসই হবে।
ব্যাটিংয়ে দশ নম্বর ব্যাটার ভারতীয় অধিনায়ক জাসপ্রিত বুমরাহ। অথচ সেই ওভারেই ব্রড দিলেন ৩৫ রান! তাও ভালো যে শেষ বলে সিঙ্গেল হওয়াতে ৩৬ রান হয়নি! ভারতীয় ইনিংসের ৮৪তম ওভারে বোলিংয়ে ছিলেন ব্রড। ভারতকে তখন চারশোর নিচে আটকানোর লক্ষ্যে ব্যস্ত ইংল্যান্ড। স্বাভাবিকভাবেই সেটাই হওয়ার কথা ছিল।
এর আগে ৭ বল খেলে রানের খাতা খুলতে পারেননি বুমরাহ। অথচ ব্রডকে পেয়েই যেন পুরোদস্তর ব্যাটার হয়ে উঠলেন ভারতের নতুন টেস্ট অধিনায়ক।
প্রথম দুই বলে বিশ রান হওয়ার পরও কি ব্রড ঘুণাক্ষরে ভেবেছিলেন ওভাবে শেষ হবে তার ওভার। আট বলের ওভারে কেবল শেষ বলেই কোনো বাউন্ডারি আসেনি। প্রথম বৈধ বলে চার মারার পরের বলে বাউন্সার ওয়াইডে বাই চার! পরের বলে হলো নো, তাতে উড়িয়ে মারলেন বুমরাহ, বল গিয়ে আছড়ে পড়লো বাউন্ডারির বাইরে।
পরের তিন বলে টানা তিন বাউন্ডারি মেরে ব্রডকে পুরোনো ভয় ধরিয়ে দিয়েছিলেন হয়তো! কিসের ভয়? ২০০৭ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বুমরাহর দেশেরই ব্যাটার যুবরাজ সিং ব্রডের এক ওভারে ছয় বলে ছয়টায় ছয় মেরেছিলেন!
এবার হয়তো বুমরাহ ছয়টা ছয় না মারলেও ৩৬ খুব ভালো ভাবেই নিতে পারতেন। প্রয়োজন ছিল মাত্র দুই রান! তবে সিঙ্গেল হওয়াতে ব্রড যেন হাফ ছেড়ে বাঁচলেন! তবু বাঁচলেনই বা কোথায়! ৩৬ না হলেও লজ্জ্বার রেকর্ড কিন্তু হয়েছেই!
স্পোর্টসমেইল২৪/এসকেডি