ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টে বাংলাদেশের হার তৃতীয় দিনেই নিশ্চিত হয়েগিয়েছিল। শঙ্কা ছিল ইনিংস ব্যবধানে পরাজয়ের লজ্জারও। তবে বৃষ্টি বিঘ্নিত চতুর্থ দিনে নুরুল হাসান সোহানের আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে ইনিংস পরাজয়ের লজ্জা থেকে বাঁচলেও হার এড়াতে পারেনি বাংলাদেশ। ব্যাটিং ব্যর্থতায় স্বাগতিকদের বিপক্ষে টাইগারদের ১০ উইকেটে হারের স্বাদ নিতে হয়েছে।
মমিনুল হকের নেতৃত্ব ছাড়ার পর নতুন করে অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের যাত্রাটাও শুভ হলো না। ক্যারিয়ারে তৃতীয়বারের মতো টেস্ট ক্রিকেটের নেতৃত্ব শুরু হলো হারের মধ্য দিয়ে। প্রথম টেস্টে হারার পর এবার দ্বিতীয় টেস্টেও একই পরিণত হওয়ায় দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হয়ে যাত্রা শুরু হলো সাকিবের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ টেস্ট দল।
সিরিজের প্রথম টেস্টেও ব্যাটিং ব্যর্থতার স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৭ উইকেটে হারের তিক্ত স্বাদ নিয়েছিল বাংলাদেশ। দ্বিতীয় টেস্টেও একই চিত্র। টাইগার ব্যাটাররা ছিলেন ব্যর্থতার কাতারে। ফলে উইকেটে হারের স্বাদ নিয়ে হোয়াইটওয়াশ হওয়ার লজ্জাবরণ করতে হলো। একই সাথে টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের এটি শততম পরাজয়।
দ্বিতীয় ইনিংসে ৪২ রানে পিছিয়ে থেকে সোমবার (২৭ জুন) তৃতীয় দিনের খেলা শেষ করে বাংলাদেশ। আগের দিন ৪ উইকেটে হারানোর পর ক্রিজে অপরাজিত ছিলেন নুরুল হাসান সোহান এবং মেহেদি হাসান মিরাজ।
চতুর্থ দিন শুরুতে বৃষ্টির বাধায় ৫ ঘণ্টা দেরিতে খেলা শুরু হয়। ভেজা মাঠে শুরুতেই মেহেদি হাসান মিরাজকে হারায় বাংলাদেশ। আগের দিন খালি হাতে থাকা মিরাজ চতুর্থ দিন মাত্র ৪ রান করেই সাজঘরে ফিরেন।
দলীয় ১৪৮ রান মিরাজ সাজঘরে ফিরলে ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রথম ইনিংস থেকে তখনও ২৬ রানপিছিয়ে ছিল বাংলাদেশ। বাকি ব্যাটারদের উপর ভরসা করতে না পারায় ব্যাট হাতে আগ্রাসী হয়ে উঠেন নুরুল হাসান। সফলও হন তিনি। ৪০তম বলে টেস্ট ক্যারিয়ারের তৃতীয় অর্ধশত হাঁকানোর সাথে সাথে স্কোর সমান করেন তিনি।
শেষ তিন ব্যাটার খালি হাতে ফিরলেও অন্যপ্রান্তে ব্যাট চালিয়ে বাংলাদেশকে রানের লিড এনে সোহান। শেষ ব্যাটার হিসেবে শরিফুল রান খালেদ আহমেদ রান আউটে কাটা পড়লে বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৮৬ রান। বিপরীতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সামনে জয়ের জন্য লক্ষ্য দাঁড়ায় ১৩ রান। নুরুল হাসান সোহান ৬০ রান অপরাজিত ছিলেন।
মাত্র ১৩ রানের লক্ষ্য পেয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের দুই ওপেনার ব্যাটার অধিনায়ক ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েট এবং জন ক্যাম্পবেলের ব্যাটি ১০ উইকেটে জয় তুলে নেয়। ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েট ৪ এবং জন ক্যাম্পবেল ৯ রান করেন।
দ্বিতীয় টেস্টে বল হাতে ৩৫ রানে ২ উইকেট এবং ব্যাট হাতে ১৪৬ রান করে ম্যাচ সেরা হয়েছেন কাইল মায়ার্স। এছাড়া দুই টেস্টে ১৫৩ রানের পাশাপাশি ৬ উইকেট শিকার করায় সিরিজ সেরা পুরস্কারও কাইল মায়ার্সের হাতেই উঠেছে।
স্পোর্টসমেইল২৪/আরএস