বাংলাদেশের বিপক্ষে ১০ উইকেট হাতে নিয়ে ১৬৭ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় দিন ব্যাট করতে নামে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দিনের প্রথম সেশনে চার উইকেট তুলে নিয়ে স্বাগতিকদের চেপে ধরার বার্তা দিলেও বাকি দুই সেশনে তেমন কোনো সাফল্য পায়নি বাংলাদেশ। বিপরীতে কাইল মায়ার্সের দুর্দান্ত সেঞ্চুরিতে ১০৬ রানের লিড নিয়ে দিন শেষ করেছে স্বাগতিকরা।
সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে শুক্রবার (২৪ জুন) ড্যারেন স্যামি ন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশকে ২৩৪ রানে গুটিয়ে দেয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দিনের বাকি সময়ে ১৬ ওভার ব্যাট করে বিনা উইকেটে ৬৭ রান করে ১০ উইকেট হাতে নিয়ে ১৬৭ রানে পিছিয়ে ছিল ক্যারিবীয়রা।
শনিবার (২৫ জুন) দ্বিতীয় দিন ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশের বোলারদের তোপের মুখে পড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটাররা। প্রথম সেশনে খালেদ আহমেদের এক ওভারে দুই উইকেট শিকারে চাপে পড়ে স্বাগতিকরা। দলীয় ১৩২ রানে চার উইকেট হারিয়ে লাঞ্চ বিরতির পর বদলে যায় ক্যারিবীয়দের ইনিংস।
প্রথম সেশনে ৪ উইকেট তুলে নিয়ে লড়াইয়ে ফিরলেও পরের দুই সেশনে বাংলাদেশ উইকেট শিকার করে মাত্র একটি। এছাড়া শেষ সেশনে দ্বিতীয় নতুন বলও কাজে লাগাতে পারেননি বাংলাদেশের বোলাররা।
দিনের দ্বিতীয় সেশনে জার্মেইন ব্ল্যাকউড ও কাইল মায়ার্স ১১১ রান তুলে নেয়। প্রথম সেশনে চার উইকেট হারানোর পর মিডল অর্ডারের দুই ব্যাটারের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে চালকের আসনে বসে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। বাংলাদেশের সাফল্য আসে তৃতীয় সেশনে।
চা-বিরতির পর দ্বিতীয় ওভারে চমৎকার এক ডেলিভারিতে ব্ল্যাকউডকে এলবিডব্লিউ করে ফেরান মেহেদী হাসান মিরাজ। ১২১ বল খেলে ৬টি চারে ৪০ রান করেন তিনি। ফলে মায়ার্সের সাথে তার ২১০ বলের ১১৬ রানের জুটি ভাঙে।
ব্ল্যাকউড সাজঘরে ফিরলেও দ্য সিলভার সঙ্গে আরেকটা দারুণ জুটিতে দিন শেষ করেন মায়ার্স। তুলে নেন টেস্ট ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। দিন শেষে ১২৬ রানে অপরাজিত থাকা মায়ার্সের প্রথম সেঞ্চুরিটাও বাংলাদেশের বিপক্ষে। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে চট্টগ্রামে টেস্ট অভিষেকেই কাইল মায়ার্সের রেকর্ড ২১০ রানে বাংলাদেশকে হারিয়ে দিয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
দ্বিতীয় দিন শেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ৩৪০ রান। ব্যাট হাতে মায়ার্স ১২৬ রানে এবং সিলভা ২৬ রানে অপরাজিত রয়েছেন। বাংলাদেশের পক্ষে বল হাতে দুটি করে উইকেট শিকার করেছেন খালেদ আহমেদ এবং মেহেদী হাসান মিরাজ। বাকি একটি উইকেট নিয়েছেন শরিফুল ইসলাম।
স্পোর্টসমেইল২৪/আরএস