শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টে বাংলাদেশি ব্যাটারদের ব্যর্থতার মিছিলকে নিছক দুর্ঘটনা বলেই উড়িয়ে দেওয়া যেত। কিন্তু ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে অ্যান্টিগাতে প্রথম টেস্টে ব্যাটারদের ব্যর্থতার পর আর দুর্ঘটনা বলা যায় না। বরং, ব্যাটারদের মধ্যে আত্মবিশ্বাসের অভাব রয়েছে বলা যায়। বিষয়টি কোচ রাসেল ডোমিঙ্গোও স্বীকার করে নিয়েছেন। তার মতে, ব্যাটারদের আত্মবিশ্বাস একদম তলানিতে রয়েছে।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ঢাকা টেস্টের দুই ইনিংসেই ৩০ রানের নিচে হারিয়ে বসেছিল পাঁচ উইকেট। লিটন-মুশফিকের ব্যাটিংয়ে ম্যাচে কিছুটা ঘুরে দাঁড়িয়েছিল। কিন্তু অ্যান্টিগাতে ব্যাটিং ব্যর্থতার পর আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি বাংলাদেশ। উল্টো ম্যাচ হারের দ্বারপ্রান্তে রয়েছে।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ব্যাটিং ব্যর্থতার পর টাইগার কোচ রাসেল ডোমিঙ্গো বলেন, “এই মুহূর্তে ব্যাটারদের আত্মবিশ্বাস একদম তলানিতে। মুমিনুল, শান্তর মতো বড় খেলোয়াড়রা আত্মবিশ্বাসের অভাবে ভুগছে। ক্রিকেটে আত্মবিশ্বাস সবসময়ই বড় বিষয়। আর এই মুহূর্তে তাদের ব্যাটিংয়ে সেই আত্মবিশ্বাসটা নেই।”
প্রথম ইনিংসে সাকিবের ৫১ রান না হলে হয়তো আরও একবার একশ’র নিচে গুটিয়ে যেত বাংলাদেশ। সেই লজ্জা থেকে বাঁচিয়েছে সাকিবের ব্যাট। ব্যাটারদের এই ব্যর্থতার জন্য দলের ব্যাটারদের বাজে শট খেলাকেই দায়ী করেছেন ডোমিঙ্গো। তার মতে, ব্যাটাররা ভালো করলে বাড়তে পারতো দলের রান।
তিনি বলেন, “দুই ইনিংসেই অনেক আলগা শট, অনেক বাজে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। প্রথম ইনিংসে ১০৩ রান, অবশ্যই এর চেয়ে বেশি রান করা উচিত। দ্বিতীয় ইনিংসেও ২৪৫ রানের চেয়ে বেশি রান করা যেতো। এটাই শেষ কথা, অনেক বেশি আলগা শট খেলেছি আমরা।”
দুই ইনিংসে ব্যাটিং ব্যর্থতার পর বাংলাদেশের সামনে ঘুরে দাঁড়ানোর আর কোনো সুযোগ নেই। নিশ্চিত পরাজয়ের সামনে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশ কোচের আক্ষেপ কিছুটা কমিয়েছেন পেসার খালেদ আহমেদ।
বলেন, “সে তিন উইকেট পেয়েছে। কিন্তু তার উন্নতি করার অনেক জায়গা আছে। মাঝে মাঝে ভালো বল করেও উইকেট পাবেন না। আবার খুব ভালো না করেও উইকেট পাবেন। এটাই ক্রিকেট। দ্বিতীয় ইনিংসে ভালো বল করেছে, ভালো কিছু উইকেট নিয়েছে। তবে তার উন্নতির অনেক জায়গা আছে।”
দীর্ঘদিন পর টেস্ট ফেরা মোস্তাফিজুর রহমানের কাছেও নিজের প্রত্যাশার বিষয় খোলাসা করেছেন ডোমিঙ্গো। তার কাছে আরও ভালো বোলিং প্রত্যাশা কোচের।
বলেন, “সে ভালো বল করেছে। কিন্তু আরও কিছু চাই তার কাছ থেকে। তার গতি একটু বাড়াতে হবে। সে অবশ্য খুব বেশি বোলিং করেনি। তবে তার নিয়ন্ত্রণ ভালো ছিল। ভালো সুইং ছিল। তাকে খুব সাবধানে খেলাতে হবে। সে অনেক ক্রিকেট খেলেছে। আরও অনেক খেলতে হবে। তাকে বোলিং করিয়ে মাটিতে মিশিয়ে ফেলা যাবে না। সে আমাদের গুরুত্বপূর্ণ একজন বোলার, বিশেষ করে সাদা বলে।”
স্পোর্টসমেইল২৪/পিপিআর