দুই ম্যাচ সিরিজের অ্যান্টিগা টেস্টের তৃতীয় দিন শেষে জয়ের জন্য ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রয়োজন আর মাত্র ৩৫ রান। হাতে থাকা ৭ উইকেটে এ রান করলেই জয় তুলে নিবে স্বাগতিকরা। ৩ উইকেটে ৪৯ রান করা উইন্ডিজদের হয়ে ২৮ রানে ওপেনার ক্যাম্পবেল এবং ১৭ রানে ব্ল্যাকউড অপরাজিত রয়েছেন।
প্রথম ইনিংস থেকে ১৬২ রান পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ। প্রথম ইনিংসের পর দ্বিতীয় ইনিংসের ব্যাটিং ব্যর্থতার পরিচয় দেয় টাইগার ব্যাটাররা। দ্বিতীয় ইনিংসে ২৪৫ রানে অলআউট হলে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সামনে জয়ের জন্য লক্ষ্য দাঁড়ায় ৮৪ রান।
তৃতীয় দিনের শেষ বেলায় ব্যাট করতে নেমে স্বাগতিকরাও বাংলাদেশ বোলারদের চাপের মুখে পড়ে। ৩.৫ ওভারে দলীয় ৯ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বসে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তিনজনকেই সাজঘরে ফেরান খালেদ আহমেদ।
শুরুতেই তিন উইকেট হারিয়ে চাপে পড়লেও ওপেনার ক্যাম্পবেল এবং ব্ল্যাকউডের ব্যাটিং ধীরতায় দিনের বাকি সময়ের আর বিপদে পড়েনি স্বাগতিকরা। ১৫ ওভার ব্যাট করতে সুযোগ পাওয়া ওয়েস্ট ইন্ডিজ দিন শেষে ৪৯ রান সংগ্রহ করেছে। ব্যাট হাতে ওপেনার ক্যাম্পবেল ২৮ এবং ব্ল্যাকউড ১৭ রানে অপরাজিত রয়েছেন।
এর আগে অ্যান্টিগা টেস্টে এক পর্যায়ে ইনিংস ব্যবধানে হারের শঙ্কায় পড়েছিল বাংলাদেশ। ২ উইকেটে ৫০ রান নিয়ে দ্বিতয় দিনের খেলা শুরু করা বাংলাদেশ দিনের প্রথম সেশনে আরও চার উইকেট হারিয়ে ফেলে। ফলে ৬ উইকেট হারিয়ে ৪৭ রানে পিছিয়ে থেকে লাঞ্চ বিরতিতে যায় বাংলাদেশ।
বিরতি থেকে ফিরে সপ্তম উইকেট জুটিতে সাকিব আল হাসান ও নুরুল হাসান সোহানের রেকর্ড গড়া ১২৩ রানে লিড পায় বাংলাদেশ। প্রথম ইনিংসের ন্যায় দ্বিতীয় ইনিংসেও টাইগার ব্যাটাররা ছিলেন যাওয়া আসার মাঝে।
সাকিবের ৬৩ এবং সোহানের ৬৪ রান ছাড়া বলার মতো ইনিংস খেলেন ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয়। দলের অভিজ্ঞ ওপেনার তামিম ইকবাল ২২ রানে ফিরলেও তরুণ ওপেনার জয়ের ব্যাট থেকে আসে ৪২ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস।
স্পোর্টসমেইল২৪/আরএস