শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে মিরপুরে ছয় ডাকের লজ্জার রেকর্ড এখনও ভোলেননি বাংলাদেশি ক্রিকেট সমর্থকরা। এর মধ্যেই আবারও একই রেকর্ডে নিজেদের নাম তুললো বাংলাদেশি ব্যাটাররা। টানা দুই টেস্টের প্রথম ইনিংসে রানের খাতা খোলার আগে ছয় ব্যাটারের প্যাভিলিয়নে ফেরার ঘটনা প্রথমবারের মতো দেখলো ক্রিকেট বিশ্ব।
চলতি বছরের মে-তে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ঢাকা টেস্টের প্রথম ইনিংসে ছয় ব্যাটার রানের খাতা খোলার আগেই প্যাভিলিয়নে ফিরেছিলেন। তবে সেই ছয় ব্যাটারের রানে খাতা খোলার আগে প্যাভিলিয়নের ফেরার সেই ক্ষত কিছুটা হলেও শুকিয়েছিল লিটন দাস ও মুশফিকুর রহিমের মহাক্যাবিক জুটিতে ভর করে।
কিন্তু অ্যান্টিগাতে বাংলাদেশ মহাক্যাবিক কোনো জুটি গড়তে পারেনি। স্বাভাবিকভাবেই তাই অল্প রানেই গুটিয়ে গিয়েছে বাংলাদেশ। তবে দলকে শতরানের নিচে গুটিয়ে যাওয়া থেকে রক্ষা করেছে সাকিব আল হাসানের ৫১ রান। ওয়ানডে স্টাইলে ব্যাট চালিয়ে ৬৭ বলে ৫১ রান করেন তিনি।
টেস্ট ক্রিকেটের এক ইনিংসে ছয় ডাকের ঘটনা ঘটেছে সাতবার। ১৯৮০ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে পাকিস্তান প্রথমবারের মতো এই রেকর্ড গড়ে। পাকিস্তান এই রেকর্ডের জনক আর বাংলাদেশ এই রেকর্ডের রাজা।
এক ইনিংসে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ তিনবার ছয় ডাকের লজ্জার রেকর্ড গড়েছে বাংলাদেশ। যার মধ্যে সর্বশেষ দুইবার কি-না টানা দুই ম্যাচে।
২০০২ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথমবারের মতো এক ইনিংসে ছয় ডাকের লজ্জার রেকর্ড গড়ে বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ওই ম্যাচে বাংলাদেশের হয়ে শূন্য রানে প্যাভিলিয়নে ফিরেছেন- মোহাম্মদ আশরাফুল, অলক কাপালি, খালেদ মাসুদ পাইলট, এনামুল হক মনি, তাপস বৈশ্য ও তালহা জুবায়ের।
২০২২ সালের শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ছয় ডাকের রেকর্ডে বাংলাদেশের নাম তুলতে সাহায্য করেছিলেন- মাহমুদুল হাসান জয়, তামিম ইকবাল, সাকিব আল হাসান, মোসাদ্দেক হোসেন, খালেদ আহমেদ ও ইবাদত হোসেন।
তৃতীয়বার বাংলাদেশকে ছয় ডাকের রেকর্ড গড়ার পথে শূন্য রানে প্যাভিলিয়নে ফিরেছেন- মাহমুদুল হাসান জয়, নাজমুল হোসেন শান্ত, মমিনুল হক, নুরুল হাসান সোহান, মোস্তাফিজুর রহমান ও খালেদ আহমেদ।
স্পোর্টসমেইল২৪/পিপিআর