তুলনামূলক অনভিজ্ঞ দল নিয়ে লর্ডসে সিরিজের প্রথম টেস্টে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৯ উইকেটের বড় জয় পেয়েছে পাকিস্তান। ম্যাচের চতুর্থ দিনের মধ্যাহ্ন-বিরতির পরই দুর্দান্ত জয়ের স্বাদ পায় পাকিস্তান। এ জয়ে ম্যাচের সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেছে সফরকারীরা। এদিকে এ জয়ে অনেকটাই বিস্মিত ও গর্বিত পাকিস্তান অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদ।
ইংল্যান্ডে মৌসুম শুরুর কন্ডিশনকে স্বাগতিক দলের চেয়ে বেশি কাজে লাগাতে সক্ষম হয়েছে পাকিস্তানি খেলোয়াড়রা। ফিল্ডিংয়েও ইংলিশদের চেয়ে মুন্সয়ানায় এগিয়ে ছিল সফরবারীরা। পুরো ম্যাচে ৬৪ রানে ৮ উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা হন পাকিস্তানের পেসার মোহাম্মদ আব্বাস। পাশাপাশি চার ব্যাটসম্যানের অর্ধশতকে প্রথম ইনিংসে ৩৬৩ রানের বড় সংগ্রহ পায় পাকিস্তান।
নিজ দলের বোলার-ব্যাটসম্যানদের পারফরমেন্সে বিস্মিত পাকিস্তান অধিনায়ক সরফরাজ বলেন, ‘সত্যি, আমি সত্যিই বিস্মিত। দলের দিকে তাকালে দেখবেন ইংল্যান্ড দল অনেক বেশি অভিজ্ঞ। কিন্তু আমার দলের খেলোয়াড়দের নিয়ে আমি গর্বিত।’
অধিনায়ক হিসেবে সামনে থেকে দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন সরফরাজ। শনিবার ম্যাচের তৃতীয় দিন দুর্দান্ত এক ক্যাচে ইংল্যান্ডের মিডল-অর্ডার ব্যাটসম্যান ডেভিড মালানকে থামান তিনি। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে লর্ডস টেস্টের আগে আয়ারল্যান্ডের অভিষেক ম্যাচের প্রতিপক্ষ ছিল পাকিস্তান। ডাবলিনে ৫ উইকেটে ঘাম ঝড়ানো জয় পেলেও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে পাকিস্তানের পারফরমেন্স ছিল অনেক বেশি উজ্জল। দলগত পারফরমেন্সের জন্য পাকিস্তানের ফিল্ডিং কোচ ও অস্ট্রেলিয়ার সাবেক উইকেটরক্ষক স্টিভ রিক্সনকে কৃতিত্ব দিচ্ছেন সরফরাজ।
তিনি বলেন, ‘আয়ারল্যান্ড আমাদের চাপে রেখেছিল এবং সেটি এই টেস্টের জন্য আমাদের তৈরি হতে সহায়তা করেছে। আমরা ভেবেছিলাম, আমরা যদি হেরে যাই তবে আমাদের শিখতে হবে।’
পাকিস্তানের ব্যাটসম্যানদের নিয়ে প্রশংসা ঝড়েছে সরফরাজের কণ্ঠে। বলেন, ‘বলে মুভমেন্ট ছিল, তাই ব্যাটসম্যানদের প্রশংসা করাটা যথেষ্ট হবে না।’
নিজেকে নিয়ে সরফরাজ বলেন, ‘নিজেকে নিয়ে বিচার-বিশ্লেষণের কিছু নেই। দলের খেলোয়াড়দের বকাঝকা করি। আপনার সামনা-সামনি করলে কোন ভুল বুঝাবুঝি থাকে না।’