তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসকে সফলরত নিউজিল্যান্ডকে ১৩২ রানে গুটিয়ে দিয়েছে স্বাগতিক ইংল্যান্ড। নিউজিল্যান্ডের পক্ষে ব্যাট হাতে কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম ছাড়া বাকি সবাই ছিলেন যাওয়া আসার মাঝে। বিপরীতে বল হাতে সফল ছিলেন জেমস এন্ডারসন এবং অভিষিক্ত ম্যাথিউ পটস। দু’জনেই শিকার করেছেন ৪টি করে উইকেট।
বৃহস্পতিবার (২ জুন) সাদা পোষাকের টেস্টে টস করতে মাঠে নামেন অলরাউন্ডার বেন স্টোকস। শুধু তাই নয়, ইংল্যান্ডের নতুন অধিনায়ক বেন স্টোকসের সাথে কোচ ব্রেন্ডন ম্যাককালামেরও অভিষেক হয় এ ম্যাচ দিয়ে। অধিনায়কত্বের অভিষেক টসে জিততে পারেননি স্টোকস।
বিপরীতে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। তবে সিদ্ধান্তটি যে সঠিক হয়নি তা দলের ব্যাটিং ইনিংস দেখে সহজেই বলা যায়। দলের ব্যাটারদের যাওয়া-আসার মাঝে প্রথম ইনিংসে মাত্র ১৩২ রানেই গুটিয়ে গেছে নিউজিল্যান্ড।
ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের শুরুতেই উইকেট হারায় নিউজিল্যান্ড। দলীয় ১ রানে ব্যক্তিগত ১ রান নিয়ে সাজঘরে ফিরেন উইল ইয়ং। ইনিংসের তৃতীয় ওভারে বল হাতে নিজের প্রথম শিকার করে জেমস এন্ডারসন। শুরুতেই উইকেট হারানো নিউজিল্যান্ড ব্যাট হাতে যেন খেই হারিয়ে ফেলে।
দলীয় রান পঞ্চাশের ঘরে পৌঁছানোর আগেই একে একে সাজঘরে ফিরেন নিউজিল্যান্ডের ৭ ব্যাটার। ৪৫ রানে ৭ উইকেট হারানো ব্যাটাররা হলেন যথাক্রমে- জেমস এন্ডারসন (১), টম লাথাম (১), ডেভন কনওয়ে (৩), অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন (২), ড্যারেল মিচেল (১৩), টম ব্লান্ডেল (১৪) এবং কাইল জেমিসন (৬)।
ব্যাটিংয়ে ধস নামার পর কিছুটা হাল ধরেন কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম। শেষ পর্যন্ত ৪২ রানে গ্র্যান্ডহোম অপরাজিত থাকলেও সঙ্গীর অভাবে বেশিদূর যেতে পারেননি। দলীয় ৮৬ রানে টিম সাউদি (২৬) আউট হলে শতরানের নিচে গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কায় পড়ে নিউজিল্যান্ড। তবে শেষ ব্যাটার ট্রেন্ট বোল্ট (১৪) সাজঘরে ফেরার আগে ১৩২ রানের সংগ্রহ পায় তারা। বাকি ব্যাটার অ্যাজাজ প্যাটেলের ব্যাট থেকে আসে ৬ রান।
নিউজিল্যান্ড ব্যাটারদের যাওয়া-আসার মাঝে বল হাতে ঝলক দেখিয়েছেন ইংল্যান্ডের দুই বোলার, জেমস এন্ডারসন এবং অভিষিক্ত ম্যাথিউ পটস। দু’জনেই শিকার করেন ৪টি করে উইকেট।
স্পোর্টসমেইল২৪/আরএস