বল টেম্পারিংয়ের জের ধরে অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট দলের নেতৃত্ব হারিয়েছেন ক্যাপ্টেন স্টিভ স্মিথ আর ভাইস ও ক্যাপ্টেন ডেভিড ওয়ার্নার। শুধু তা’ই নয়, দু’জনেই নিষিদ্ধ হয়েছে এক বছরের জন্য।
এদিকে কেলেঙ্কারি যেন পিছু ছাড়ে না পাকিস্তান ক্রিকেটের। দুর্নীতি-ম্যাচ ফিক্সিং থেকে শুরু করে মদক; সব কিছুতেই উচ্চারিত হয় পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের নাম। তারই জের ধরে এবার ম্যাচে স্মার্টঘড়ি ব্যবহার করে আবারও আলোচনায় এসেছে দেশটির ক্রিকেটাররা।
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে লর্ডস টেস্টে পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের স্মার্টঘড়ি ব্যবহার নিয়ে চলছে তোলপাড়। টেস্টের প্রথম দিন দুই পাকিস্তানি ক্রিকেটার আসাদ শফিক ও বাবর আজম স্মার্টঘড়ি পরে মাঠে নামেন। যে ঘড়ির সাহায্যে সময় দেখার পাশাপাশি অনেকটা মোবাইলের কাজও করা যায়। খেলা চলাকালীন মাঝে মধ্যেই তাদের সেই ঘড়ি ব্যবহার করতেও দেখা গেছে।
বিষয়টি আমলে নিয়েছে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)। তাদের নির্ধারিত নীতিতে স্পষ্ট বলা আছে, যে কোন ধরনের কমিউনিকেশন ডিভাইস মাঠ ও ড্রেসিংরুমের এরিয়াতে বহন করা যাবে না। কিন্তু নিজেদের হাতে স্মার্টঘড়ি পরে আইসিসির এমন নিয়ম উপেক্ষা করেছেন শফিক ও আজম।
দিনের খেলা শেষে শফিক ও আজমকে আইসিসির ডেকে পাঠানো হয় এবং কড়া করে মৌখিকভাবে তিরস্কার করা হয়। পাশাপাশি ওই দুই ক্রিকেটারসহ পুরো পাকিস্তান দলকে পরবর্তীতে এমন কোনো ডিভাইস সঙ্গে বহন করতে বারণ করা হয়েছে। অন্যথায় বড় শাস্তি পেতে হতে পারে পুরো দলকে।