বাংলাদেশের বিপক্ষে দুই ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো ১০ উইকেট শিকারের কীর্তি গড়েছেন আসিথা ফার্নান্দো। কিংবদন্তি চামিন্দা ভাসের পর দ্বিতীয় শ্রীলঙ্কান পেসার হিসেবে ম্যাচে ১০ উইকেট শিকার করেছেন এই পেসার। এর ফলে, দীর্ঘ ২১ বছর পর কোনো লঙ্কান পেসার ম্যাচে ১০ উইকেটের দেখা পেলেন।
শ্রীলঙ্কার বোলিং আক্রমণে সবসময়ই ছিল স্পিনারদের রাজত্ব। আলাদা করে বলতে গেলে রঙ্গনা হেরাথ এবং মুত্তিয়া মুরালিধরনের উপরই নির্ভর করেছিল লঙ্কানরা। এই দুইজনের বিদায়ের পর লঙ্কানদের টেস্ট বোলিং আক্রমণ হয়ে উঠেছিল নির্বিষ। তাদের সেই পুরাতন স্মৃতিই ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে তরুণ বোলাররা।
বাংলাদেশের মাঠে বরাবরই থাকে স্পিনারদের জয়জয়কার। সেখানেই এবার হানা দিয়েছে প্রতিপক্ষের পেসাররা। চট্টগ্রামের পর মিরপুরেও দেখা গেছে লঙ্কান বোলারদের আধিপত্য। সেই আধিপত্য দেখিয়ে দীর্ঘ ২১ বছর পর টেস্টে কোনো শ্রীলঙ্কান পেসার ম্যাচে ১০ উইকেটের দেখা পেলো।
সর্বশেষ ২০০১ সালে কলম্বোর সিংহলিজ স্পোর্টস ক্লাব মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ম্যাচে ১০ উইকেট শিকার করেছিলেন চামিন্দা ভাস। কিংবদন্তি এই পেসারের কীর্তির ২১ বছর পর মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় লঙ্কান পেসার হিসেবে ম্যাচে ১০ উইকেট শিকার করলেন আসিথা ফার্নান্দো। বাংলাদেশের বিপক্ষে ফার্নান্দোর বোলিং ফিগার ছিল ১৪৪ রানে ১০ উইকেট।
লঙ্কানদের হয়ে প্রথম পেসার হিসেবে টেস্টে ১০ উইকেট শিকার করার কীর্তিও চামিন্দা ভাসের। ১৯৯৫ সালে নেপিয়ারে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৯০ রানে পাঁচ উইকেট শিকার করেছিলেন তিনি। ছয় বছরের ব্যবধানে ক্যারিয়ারে দুইবার ম্যাচে ১০ উইকেট শিকার করতে পেরেছিলেন চামিন্দা ভাস।
টেস্ট ক্রিকেটে শ্রীলঙ্কান বোলাররা এখন পর্যন্ত ৪১ বার ম্যাচে ১০ উইকেট শিকার করেছেন। এর মধ্যে ৩৮ বারই শিকার করেছেন লঙ্কান স্পিনাররা।
লঙ্কান স্পিনারদের মধ্যে ২২ বার ১০ উইকেট শিকার করেছেন মুত্তিয়া মুরালিধরন এবং খেলোয়াড়ি জীবনে ৯ বার এই কীর্তি নিজের করে নিয়েছিলেন বাংলাদেশের স্পিন বোলিং কোচ রঙ্গনা হেরাথ। এই দুইজন বাদে আর মাত্র ছয় স্পিনার ১০ উইকেটের স্বাদ পেয়েছেন। মুরালিধরন, হেরাথের পর দিলরুয়ান পেরেরাই একমাত্র স্পিনার যিনি কি-না দুইবার ম্যাচে ১০ উইকেট শিকার করতে পেরেছিলেন।
স্পোর্টসমেইল২৪/পিপিআর