শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্টে ম্যাড়মেড়ে ড্র করে ঢাকায় জয়ের স্বপ্নে বিভোর ছিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মমিনুল হক। কিন্তু দ্বিতীয় টেস্টের দুই ইনিংসেই ব্যাটারদের চরম ব্যর্থতায় লঙ্কানদের বিপক্ষে ঢাকায় ১০ উইকেটের লজ্জার হার দেখে বাংলাদেশ। চরম ব্যর্থতার এই ম্যাচে হাজারো খারাপের মধ্যেও ভালো কিছু দিক খুঁজে নিয়েছেন অধিনায়ক মমিনুল হক।
ঢাকা টেস্টের প্রথম ইনিংসের পর দ্বিতীয় ইনিংসেও ছিল টপ অর্ডার ব্যাটারদের ব্যর্থতা। প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের জন্য ঢাল হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন মুশফিকুর রহিম-লিটন দাস। দ্বিতীয় ইনিংসে টাইগারদের জন্য ত্রাণকর্তা ছিলেন সাকিব আল হাসান এবং লিটন দাস। মূলত এখান থেকেই ভালো কিছু খুঁজে নেওয়ার চেষ্টা করছেন অধিনায়ক মমিনুল।
শুক্রবার (২৭ মে) ম্যাচ শেষে অধিনায়ক বলেন, “গুরুত্বপূর্ণ সময়গুলোতে আমরা ভালো করতে পারিনি। তবে এখানেও ভালো কিছু বিষয় আছে। মুশফিক-লিটন ভালো খেলেছে, ওদের জন্য খারাপ লাগছে।”
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের আগে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন জানিয়েছিলেন, বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা টানা দুই টেস্ট খেলার মতো মানসিকভাবে প্রস্তুত না। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজ হারের পর সভাপতির কথার সাথে মিল রেখে মমিনুল বলেন, “এটা (সিরিজ ও ম্যাচ হার) পুরোটাই মানসিক সমস্যা। পরের সিরিজে (ওয়েস্ট ইন্ডিজ) মানসিকভাবে শক্তিশালী হতে না পারলে ঘুরে দাঁড়ানো কঠিন হবে।”
সিরিজের প্রথম টেস্টে দারুণ শুরুর পর দ্বিতীয় টেস্টে দলের হতশ্রী পারফর্মেন্স নিয়ে নিজের হতাশা লুকাননি অধিনায়ক মমিনুল। এমন অবস্থায় ম্যাচ জিততে কি করতে হবে সেই উপায় জানিয়ে অধিনায়কের ভাষ্য, “এটা খুবই হতাশাজনক। আমাদের আরো কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। আমাদের বোলিং ইউনিট বিশেষ করে পেস বোলিং নিয়ে কাজ করতে হবে।”
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের আগে ইনজুরির কারণে পেসার তাসকিন আহমেদ এবং মাঝপথে শরিফুল ইসলাম ইনজুরির কারণে ছিটকে পড়েছিলেন। ভরসার দুই পেসার ছাড়াই ঢাকায় শ্রীলঙ্কাকে আতিথ্য দিয়েছিল বাংলাদেশ।
একাদশে খেলা পেসার ইবাদত হোসেন মানসম্মান কিছুটা রাখতে পারলেও আরেক পেসার খালেদ আহমেদের পারফর্মেন্স ছিল একেবারে হতশ্রী। বিপরীতে মিরপুরের উইকেটে নিজেদের সক্ষমতার পরিচয় দিয়েছিলেন লঙ্কান পেসাররা।
স্পোর্টসমেইল২৪/পিপিআর