দুই ম্যাচ সিরিজে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের ছয় ব্যাটার রানের খাতা খোলার আগেই প্যাভিলিয়নে ফিরেছিলেন। দ্বিতীয় ইনিংসে আউট হয়েছেন আরও তিন বাংলাদেশি ক্রিকেটার। আর এতেই এক টেস্টে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক ব্যাটারের শূন্য রানে আউট হওয়ার রেকর্ড গড়লো বাংলাদেশ।
দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের ছয় ব্যাটার শূন্য রানে আউট হলেও মুশফিকুর রহিম এবং লিটন দাসের সেঞ্চুরিতে ৩৬৫ রানের সংগ্রহ দাঁড় করেছিল বাংলাদেশ। প্রথম ইনিংসে ৩৬৫ রান করে কয়েকটি বিশ্ব রেকর্ডও করে বাংলাদেশ দল।
এক ইনিংসে সর্বোচ্চ ছয় শূন্যের দেখা পায় বাংলাদেশ। টেস্ট ক্রিকেটে যেকোনো ইনিংসে এক দলের ছয়টি শূন্যের দেখা পাওয়ার প্রথম ঘটনা ছিল এটি। পাশাপাশি ছয় শূন্যের পর সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহের রেকর্ডও গড়ে তারা।
দ্বিতীয় ইনিংসেও একই রকম ব্যাটিং বিপর্যয় দেখে বাংলাদেশ। এই ইনিংসে তিনটি শূন্যের দেখা পায় মমিনুল হক বাহিনী। দুই ইনিংস মিলিয়ে মোট ৯ ডাকের শিকার হয়ে নতুন আরও একটি রেকর্ড গড়লো তারা।
তৃতীয় দল হিসেবে এক ম্যাচ সর্বোচ্চ ৯ জন ব্যাটার ডাকের শিকার হলো। এর আগে কেবল শ্রীলঙ্কা ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের একই কীর্তি ছিল।
১৯৯০ সালে ভারতের বিপক্ষে চন্ডিগড় টেস্টে দুই ইনিংস মিলিয়ে শ্রীলঙ্কার ৯ জন ব্যাটার রানের খাতা খোলার আগেই সাজঘরে ফেরেন। এর ১০ বছর পর ২০০০ সালে ব্রিসবেন টেস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ৯ ব্যাটার একই অনাকাঙ্খিত এই রেকর্ড গড়েন।
বাংলাদেশের হয়ে দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে রানের খাতা খুলতে পারেননি- তামিম ইকবাল, মাহমুদুল হাসান জয়, সাকিব আল হাসান, মোসাদ্দেক হোসেন, ইবাদত হোসেন ও খালেদ আহমেদ। দ্বিতীয় ইনিংসে শূন্যের দেখা পান- তামিম ইকবাল, খালেদ আহমেদ এবং মমিনুল হক।
ঢাকা টেস্টে বাংলাদেশের ৯ এবং শ্রীলঙ্কার দুই ব্যাটারসহ ১১জন রানের খাতা খোলার আগেই প্যাভিলিয়নে ফিরেছেন। এর আগে মোট ১১ ম্যাচে ১১জন ব্যাটার রানের খাতা খোলার আগেই প্যাভিলিয়নে ফিরেছেন। এই ম্যাচে শ্রীলঙ্কার আরো একজন ব্যাটার ডাকের শিকার হলে, এটাও হতে পারতো একটি অনাকাঙ্খিত বিশ্ব রেকর্ড।
স্পোর্টসমেইল২৪/পিপিআর