দুই ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টের দুই ইনিংসেই রানের খাতা খোলার আগেই বিদায় নিয়েছেন বাংলাদেশি ওপেনার তামিম ইকবাল। টেস্ট ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো দুই ইনিংসেই ডাকের শিকার হলেন এই ক্রিকেটার। সিরিজের প্রথম ম্যাচে সেঞ্চুরির দেখা পাওয়া তামিম দ্বিতীয় টেস্টের কোনো ইনিংসেই রানের দেখা পাননি।
২০০৮ সালে টেস্ট আঙিনায় পা রাখা তামিম ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো ডাকের শিকার হয়েছিলেন ২০০৯ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে চট্টগ্রামে। এখন পর্যন্ত ক্যারিয়ারে ১১বার শূন্য রানে ফিরেছেন তিনি। বাংলাদেশের ওপেনারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশিবার ডাকের শিকার হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২৬ মে) শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ঢাকা টেস্টের চতুর্থ দিনে বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংসের ৬ষ্ঠ ওভারের প্রথম বলে প্যাভিলিয়নে ফেরেন তামিম। আসিথা ফার্নান্দোর বলে দ্বিতীয় স্লিপে দাঁড়ানো কুশল মেন্ডিসের হাতে ক্যাচ তুলে দেন। এতেই দুই ইনিংসে শূন্য রানে আউট হওয়ার অনাকাঙ্খিত রেকর্ড গড়েন তিনি।
বাংলাদেশের হয়ে তৃতীয় ওপেনার হিসেবে পেয়ারের রেকর্ড গড়েছেন তামিম ইকবাল। এর আগে ২০০৭ সালে ভারতের বিপক্ষে এই মিরপুরেই প্রথম বাংলাদেশি ওপেনার হিসেবে পেয়ারের শিকার হয়েছিলেন ওপেনার জাভেদ ওমর বেলিম। দ্বিতীয় ইনিংসে গোল্ডেন ডাকের শিকার হওয়ায় জাভেদ ওমরের জন্য সেটি ছিল ‘গোল্ডেন ডাক পেয়ার’।
চলতি বছর দক্ষিণ আফ্রিকায় পোর্ট এলিজাবেথ টেস্টে প্রোটিয়াদের বিপক্ষে দুই ইনিংসে ডাকের শিকার হয়েছিল তরুণ মাহমুদুল হাসান জয়। দ্বিতীয় বাংলাদেশি ওপেনার হিসেবে পেয়ারের শিকার হয়েছিলেন তিনি। জাভেদ ওমরের মতো জয়েরটাও ছিল ‘গোল্ডেন ডাক পেয়ার’। তৃতীয় বাংলাদেশি ওপেনার হিসেবে ‘পেয়ার’-এর অনাকাঙ্খিত কীর্তি গড়লেন তামিম ইকবাল। তবে তিনিই প্রথম বাংলাদেশি ওপেনার যিনি কিনা গোল্ডেন ডাক পেয়ারের শিকার হলেন না।
টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি ১৬বার রানে আউট হয়েছেন মোহাম্মদ আশরাফুল। দ্বিতীয় স্থানে থাকা মাশরাফি বিন মর্তুজা, মুশফিকুর রহিম এবং মমিনুল ইসলাম ১২বার করে শূন্য রানে প্যাভিলিয়নে ফিরেছেন। আর তৃতীয় স্থানে থাকা খালেদ মাসুদ পাইলট, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ এবং তামিম ইকবাল ১১ বার করে শূন্য রানে প্যাভিলিয়নে ফিরেছেন।
বাংলাদেশি ওপেনাররা এখন পর্যন্ত ৪৮ বার শূন্য রানে প্যাভিলিয়নে ফিরেছেন। এর মধ্যে তামিমই ১১ বার এর ডাকের শিকার হয়েছেন। বাকি ৩৭ বার ডাকের শিকার হয়েছেন ১৬ ওপেনার।
স্পোর্টসমেইল২৪/পিপিআর