দুই ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে ৩৬৫ রানে অলআউট হয়েছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের বিপক্ষে লঙ্কান পেসাররা হুমকি হয়ে উঠলেও সফরকারীদের এখনো চাপে ফেলতে পারেননি টাইগার পেসাররা। উইকেটরক্ষক ও ব্যাটার লিটন কুমার দাস মনে করেন, বাংলাদেশকে ম্যাচে ফিরতে হলে ফ্রন্টলাইন বোলারদের বিশেষ করে পেসারদের দায়িত্ব নিতে হবে।
সোমবার (২৩ মে) ঢাকা টেস্টের প্রথম ঘণ্টাতে পাঁচ উইকেট হারিয়েছিল বাংলাদেশ। পাঁচটির সবগুলোই নিজেদের পকেটে ভরেছিল লঙ্কান পেসাররা। দ্বিতীয় দিনেও (মঙ্গলবার) বাংলাদেশের হারানো পাঁচ উইকেটের মধ্যে চারটি নিয়েছেন শ্রীলঙ্কার দুই পেসার- কাসুন রাজিথা এবং আসিথা ফার্নান্দো।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে দ্বিতীয় দিন শেষে দুই উইকেট হারিয়ে ২২২ রান পিছিয়ে রয়েছে শ্রীলঙ্কা। লঙ্কানদের দুটি উইকেটের নিয়েছেন পেসার ইবাদত হোসেন এবং স্পিনার সাকিব আল হাসান। ইবাদত উইকেট শিকার করলেও খালি হাতে দিন শেষ করেছেন আরেক পেসার খালেদ আহমেদ।
দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসে লিটন দাস বলেন, “আমাদের ফ্রন্টলাইনের যে দুই বোলার (পেসার) আছেন, তাদের দায়িত্বশীল হতে হবে। কিছু উইকেট করতে না পারলেও ইকোনমি দিয়ে যদি বল করে, তাহলে কিছু তো আপ এন্ড ডাউন হবেই।”
লিটনের মতে ঢাকা টেস্টের প্রথম দু’দিনই সুবিধা পেয়েছে পেস বোলাররা। বলেন, “সত্যি কথা বলতে পেসারদের জন্য সাহায্য কালও (সোমবার) ছিল, আজও (মঙ্গলবার) ছিল। আমি মনে করি না স্পিনারদের জন্য সাহায্য ছিল। তারপরও আমাদের স্পিনাররা যথেষ্ট ভালো বল করেছে।”
মিরপুরে চিরায়িত উইকেট থেকে কিছুটা ভিন্নতা এসেছে বলেও স্বীকার করেন লিটন। ব্যাটে বল অসমানভাবে এলেও তা আগের মতো নয় বলে জানান তিনি।
লিটন বলেন, “আমি যখন সকালে ব্যাট করলাম প্রথম দুই বলের মধ্যে একটা অসমান ছিল। সাধারণ বলবো না, মিরপুরের চিরাচরিত যে রূপ, তার থেকে একটু ভালো। আমার মনে হয় দিন যত গড়াবে, অসমান হওয়ার সুযোগ থাকবে।”
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৩৬৫ রানে গুটিয়ে গেলেও বাংলাদেশের স্বপ্ন প্রথম ইনিংসে লিড নেওয়া। তা না হলে ম্যাচে দল পিছিয়ে পড়বে জানান লিটন দাস।
প্রথম ইনিংসে দলের ব্যাটিং ব্যাটিং ধস নামার পর সেঞ্চুরি হাকানো লিটন দাস বলেন, “মিরপুরে প্রথম ইনিংস অনেক গুরুত্বপূর্ণ। ওরা (শ্রীলঙ্কা) যদি আমাদের স্কোরের কাছাকাছি আসে বা আমাদের উপরে চলে যায় তাহলে আমরা পিছিয়ে পড়বো। যতখানি লিড আনা যায়, এগিয়ে থাকা যায় এটা আমাদের জন্য ভালো হবে।”
স্পোর্টসমেইল২৪/পিপিআর/আরএস