শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ঢাকা টেস্টে ৩৬৫ রানে অলআউট হয়েছে বাংলাদেশ। লিটন দাস এবং মুশফিকুর রহিমের জোড়া শতকের সাড়ে তিনশ রানের কোটা পূরণ করে বাংলাদেশ। মুশফিক-লিটন ছাড়া দুই অঙ্কের রানের ঘর স্পর্শ করেছেন একমাত্র তাইজুল ইসলাম। তাতেই টেস্টের এক ইনিংসে দলীয় রানে সবচেয়ে বেশি অবদান রাখার শীর্ষে উঠে এসেছেন মুশফিকুর রহিম এবং লিটন দাস।
ঢাকা টেস্টে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ১৭৫ রানে অপরাজিত ছিলেন মুশফিকুর রহিম। দলের আরেক সেঞ্চুরিয়ান লিটন দাস ক্যারিয়ার সেরা ১৪১ রান করে প্যাভিলিয়নে ফিরেছেন। এই দুই ব্যাটারের মোট রান ৩১৬ রান।
বাংলাদেশের দলীয় সংগ্রহের ৮৭ দশমিক ৫৭ শতাংশ রান মুশফিকুর রহিম এবং লিটন দাসের ব্যাট থেকে এসেছে। এটাই টেস্ট ক্রিকেটে এক ইনিংসে যেকোনো দুই ক্রিকেটারের দলীয় রানে সবচেয়ে বেশি অবদানের রেকর্ড।
১৯৯২ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দুই প্রোটিয়া ব্যাটার কেপলার ওয়েলস এবং পিটার কার্স্টেন মিলে গড়েছিলেন ১২৬ রানের জুটি। ওই ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ১৪৮ রানে অলআউট হয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। এই ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার মোট রানে কার্স্টেন-কেপলারের অবদান ছিল ৮৫ শতাংশ। টেস্ট ক্রিকেটে এক ইনিংসে দলীয় রানে সবচেয়ে বেশি অবদানের রেকর্ডে দুই নম্বরে আছে।
তৃতীয় স্থানে আছে ক্যারিবিয়ান ক্রিকেটার রোহান কাহ্নাই এবং সেইমুর নার্সের মিলিত ১৫৪ রান। ১৯৬০ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ১৮১ রানে অলআউট হয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এই ম্যাচে ওই ওয়েস্ট ইন্ডিজের দুই ক্যারিয়াবিয়ান ক্রিকেটারের অবদান ছিল। দলীয় রানের ৮৫ শতাংশই এসেছিল তাদের দুইজনের ব্যাট থেকে।
চতুর্থ স্থানেও আছে ক্যারিবিয়ান দুই ক্রিকেটার। সেইমুর নার্স এবং জো ক্যারিউয়ের ব্যাট থেকে এসেছিল ৩৪৯ রান। ১৯৬৯ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৪১৭ রানে অলআউট হয়েছিল নিউজিল্যান্ড। ওই ইনিংসে নার্স এবং ক্যারিউয়ের অবদান ছিল ৮৪ শতাংশ।
টেস্টের এক ইনিংসে সবচেয়ে বেশি অবদানের পাশাপাশি আরও ক্রিকেটের রাজকীয় ফরম্যাটে আরও একটি নতুন রেকর্ড গড়েছে বাংলাদেশ। ১৪৫ বছরের টেস্ট ইতিহাসে প্রথমবারের মতো এক ইনিংসে ৬ শূন্যের পাশাপাশি দুইটি শতকের কীর্তি গড়েছে বাংলাদেশ।
এছাড়াও টেস্ট ইতিহাসে সর্বোচ্চ ছয় ডাকেরও রেকর্ড এখন বাংলাদেশের দখলে। টেস্ট ইতিহাসে এই ঘটনা মোট ছয়বার দেখেছে ক্রিকেট বিশ্ব। এর মধ্যে দুইবার এই কীর্তি গড়েছে বাংলাদেশ। ২০০২ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথমবারের মতো একই ইনিংসে বাংলাদেশের ছয় ব্যাটার রানের খাতা খোলার আগেই প্যাভিলিয়নে ফিরেছিলেন। বাংলাদেশের পাশাপাশি এই রেকর্ডে আছে পাকিস্তান, দক্ষিণ আফ্রিকা, ভারত এবং নিউজিল্যান্ডের নাম।
স্পোর্টসমেইল২৪/পিপিআর