মিরপুরের শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টের শুরুর ঘণ্টাতে স্কোরবোর্ডের ২৪ রান তুলতেই পাঁচ উইকেট হারিয়ে বসেছিল বাংলাদেশ। ব্যাটিং লাইন আপের এই ধসের পর দ্রুতই বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইন আপ গুটিয়ে যাবে এমনই শঙ্কা ছিল। তবে সেই শঙ্কাকে দূরে ঠেলে দিয়ে ২৫৩ রানের জুটি গড়েন মুশফিকুর রহিম এবং লিটন দাস। তাদের অপরাজিত এই জুটিই গড়েছে নতুন কিছু রেকর্ড।
২৪ রানে ৫ উইকেট হারানো বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস কতক্ষণ স্থায়ী হবে সেই শঙ্কা জেগেছিল। তবে লিটন-মুশফিকের দারুণ ব্যাটিংয়ে শ্রীলঙ্কাকে আর কোনো সুযোগই দেয়নি বাংলাদেশ। ফলাফল পাঁচ উইকেট হারিয়েই দিন শেষ করেছে টাইগাররা।
দিন শেষ হওয়ার সাথে সাথেই মুশফিক-লিটনের নামের পাশে যুক্ত হয়েছে অসংখ্য রেকর্ড। ২৫ বা তার চেয়ে কম রানে ৫ উইকেট হারানোর পর সর্বোচ্চ রানের জুটি গড়েছেন লিটন এবং মুশফিক।
এর আগে ১৯৫৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে এই ঢাকাতেই ৮৮ রানের জুটি গড়েছিলেন পাকিস্তানের ওয়ালিস মাথিয়াস এবং সুজাউদ্দিন বাট। এতোদিন এটাই ছিল ২৫ রানের কম ৫ উইকেট হারানোর পর সর্বোচ্চ রানের জুটি। তারা যখন জুটি গড়েছিল, সেই সময় পাকিস্তান ২২ রানে ৫ উইকেট হারিয়েছিল। তৎকালীন ঢাকা স্টেডিয়ামে এই কীর্তি গড়েছিলেন তিনি।
মিরপুরেও ধারাবাহিকতার ‘শীর্ষে’ লিটন
৫০ কিংবা তার চেয়ে কম রানে ৫ উইকেট হারানোর পরও লিটন-মুশফিকের করা এই জুটি সর্বোচ্চ। এর আগে ২০১৬ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৫০ রানের কমে ৫ উইকেট হারিয়ে ২১১ রানের জুটি করেছিলেন শ্রীলঙ্কান দীনেশ চান্দিমাল এবং ধনঞ্জয়া ডি সিলভা।
৩০ রানের কমে বাংলাদেশের পাঁচ উইকেট হারানোর কীর্তি এটি পঞ্চমবার। এর মধ্যে তিনবারই ঘটেছে ২০২২ সালে। চলতি বছর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ক্রাইস্টচার্চে ২২ রানে পাঁচ উইকেট হারিয়েছিল। এছাড়াও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ডারবানে ১৬ রান তুলেই ৫ উইকেট হারায় টাইগাররা।
শূন্যের রেকর্ডে সর্বেসর্বা তামিম
২০০৪ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে হারারতে ১৪ রানের তুলতেই পাঁচ উইকেট হারিয়েছিল বাংলাদেশ। সেবারই প্রথম ৩০ রান তুলতে পাঁচ উইকেট হারিয়েছিল টাইগাররা।
রিভার্স সুইপ নিয়ে বিতর্কিত সময় কাটানো মুশফিকুর রহিম টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথমবারের মতো টানা দুই ম্যাচে সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন। তৃতীয় বাংলাদেশি ক্রিকেটার হিসেবে টানা দুই ম্যাচে সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়েছেন। এর আগে এই কীর্তি গড়েছিলেন তামিম ইকবাল এবং মমিনুল হক।
স্পোর্টসমেইল২৪/পিপিআর