চট্টগ্রামে সিরিজের প্রথম টেস্টে ব্যাট হাতে নিজেদের ব্যাটিং সামর্থ্যের প্রমাণ দিয়েছিলেন বাংলাদেশের ব্যাটাররা। লঙ্কান বোলারদের বিরুদ্ধে নিজেদেরকে ব্যাটিং দিয়ে নজর কেড়েছিলেন তামিম-জয়রা। কিন্তু ঢাকায় চেনা উইকেটে ফিরে নিজেদের পারফর্মেন্সের সেই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারেনি বাংলাদেশ। প্রথম দিনের প্রথম সেশন শেষে ৫ উইকেটে ৬৬ রান তুলেছে বাংলাদেশ।
সোমবার (২৩ মে) মিরপুরে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মমিনুল হক। তার সেই সিদ্ধান্তের যথার্থতা প্রমাণ করতে পারেননি দুই ওপেনার তামিম ইকবাল এবং মাহমুদুল হাসান জয়। রানের খাতা খোলার আগেই প্যাভিলিয়নে ফেরেন তরুণ ওপেনার মাহমুদুল হাসান।
কাসুন রাজিথার বলে প্রথম ওভারের দ্বিতীয় বলেই বোল্ড হয়ে সাজঘরের ফিরে যান মাহমুদুল হাসান জয়। এই ওপেনারের ফেরার ওভারেই অফ ফর্মে থাকা নাজমুল হোসেন শান্ত ছয় রান তুলে নিয়ে আভাস দিয়েছিলেন রানে ফিরবেন তিনি। কিন্তু তার পারফর্মেন্স সেই আভাস দেওয়াতেই সীমাবদ্ধ ছিল।
ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে পয়েন্ট অঞ্চলে প্রবীণ জয়াবিক্রমাকে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান তামিম ইকবাল। দুই ওপেনারই রানের খাতা খোলার আগেই সাজঘরে ফিরেছিলেন। দুই ওপেনারের বিদায়ের পর দলের হাল ধরতে পারেননি মমিনুল হক এবং নাজমুল হোসেন শান্ত।
খালি হাতে ফিরলেন দুই ওপেনার
ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারের প্রথম বলে আসিথা ফার্নান্দোর বলে উইকেটের পিছনে নিরোশান ডিকওয়েলার হাতে ক্যাচ তুলে দেন মমিনুল। সেই সুযোগ কাজে লাগাতে ভুল করেননি ডিকওয়েলা। ফল স্বরুপ প্যাভিলিয়নের রাস্তা ধরেন মমিনুল হক। সেই সময় তার ব্যক্তিগত সংগ্রহ ছিল ৯ রান।
ইনিংসে সপ্তম ওভারে পর পর দুই বলে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন নাজমুল হোসেন শান্ত এবং সাকিব আল হাসান। শান্ত বোল্ড আউট হলেও লেগ বিফোরের স্বীকার হয়েছিলেন সাকিব। দুইজনকেই প্যাভিলিয়নে ফেরান লঙ্কান পেসার কাসুন রাজিথা। কোনো রান না করেই গোল্ডেন ডাকের শিকার হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন সাকিব। ফর্মের ফেরার আভাস দেওয়া শান্ত ২১ বলে করেন ৮ রান।
২৪ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে বসা বাংলাদেশকে টেনে তোলার দায়িত্ব নেন অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম এবং উইকেটরক্ষক লিটন দাস। দুইজন মিলে লঙ্কান বোলারদের দেখে শুনে খেলতে শুরু করেন। সিরিজের প্রথম টেস্টে চট্টগ্রামে ১৬৪ রানের জুটি গড়েছিলেন এই দুই ব্যাটার। ঢাকাতেও দলের হাল ধরে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন তারা।
ঢাকায় প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের টপ অর্ডারের চার ব্যাটারের কেউই নিজেদের রান দুই অঙ্কের ঘরের নিতে পারেননি। টপ অর্ডারে চার ব্যাটারের মধ্যে সর্বোচ্চ ৯ রান আসে অধিনায়ক মমিনুলের ব্যাট থেকে। আর দুই ওপেনার তামিম এবং মাহমুদুল হাসান তো রানের খাতা খোলার আগেই ফেরেন প্যাভিলিয়নে।
প্রথম সেশনে ২৩ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ৬৬ রান তুলেছে বাংলাদেশ। প্রথম সেশন শেষে অপরাজিত আছেন লিটন দাস এবং মুশফিকুর রহিম। দুইজন মিলে গড়েছেন ৪২ রানের অপরাজিত জুটি।
স্পোর্টসমেইল২৪/পিপিআর